1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পয়লা জুনের এয়ারবাস দুর্ঘটনা নিয়ে বিতর্ক

৩ জুলাই ২০০৯

এয়ার ফ্রান্স উড়াল ৪৪৭ নিখোঁজ, এ’ কথা ঘোষণা করতে ছ’ঘন্টা সময় লাগল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ফরাসি তদন্ত কর্তৃপক্ষ৷ ব্রাজিলের জবাব: গাফিলতি তাদের নয়৷

https://p.dw.com/p/Ifwm
যে এয়ারবাস এ৩৩০ বিমানটি দুর্ঘটনায় পতিত হয় (আরকাইভ চিত্র)ছবি: AP

গত পয়লা জুন এয়ার ফ্রান্সের ৪৪৭ নম্বর উড়াল রিও ডি জানিরো থেকে প্যারিস যাবার পথে অতলান্তিকে পতিত হয়৷ দুর্ঘটনায় এয়ারবাস এ৩৩০ বিমানটির ২২৮ জন আরোহীর সকলেই প্রাণ হারায়৷ এযাবৎ সাগর থেকে ৫১টি মৃতদেহ এবং বিমানটির ৬৪০টি টুকরো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ ফ্লাইট রেকর্ডার বা ব্ল্যাক বক্সগুলি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ ফরাসি কর্তৃপক্ষ ১০ই জুলাই অবধি খোঁজ চালিয়ে যাবেন৷ তার পরও ১৫ই অগাস্ট অবধি রিমোট সোনার সহযোগে সমুদ্রগর্ভ পরীক্ষা করে দেখা হবে – যদিও ব্ল্যাক বক্সগুলি মোট ৩০ দিন অবধি সঙ্কেত পাঠাতে সক্ষম৷

সমন্বয়ের অভাব?

ফরাসি দুর্ঘটনা তদন্ত দপ্তর বিইএ-র কর্মকর্তা এ্যালাঁ বুইলার বৃহষ্পতিবার অভিযোগ করেন যে এয়ার বাস বিমানটির নিখোঁজ হবার খবর দিতে বড় বেশী সময় লেগেছে৷ ব্রাজিল থেকে নাকি সেনেগালের ডাকারে কোনো ফ্লাইট প্ল্যান পাঠানো হয়নি, যে কারণে বিমানটির উড়াল পথের দায়িত্ব হস্তান্তর করা যায়নি৷ কিন্তু ব্রাজিলের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র হেনরি মুনোজ বলেছেন যে ডাকারের কনট্রোল স্টেশনে ঠিকই ঐ ফ্লাইট প্ল্যান পাঠানো হয়েছিল, যেমন নিয়মমাফিক সব কনট্রোল স্টেশনেই পাঠানো হয়৷ এছাড়া ডাকারের উড়াল কর্তৃপক্ষকে টেলিফোনেও জানানো হয়েছিল, বিমানটি কখন তাদের বায়ু অঞ্চলে প্রবেশ করবে৷

নিয়ম অনুযায়ী এর ফলে বিমানটির উড়ালের দায়িত্ব স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে সেনেগালের হাতে গিয়ে পড়বে, অবশ্য বিমানটি যদি ঠিক সময়ে অথবা তার তিন মিনিটের মধ্যে তাদের বায়ু অঞ্চলে প্রবেশ করে৷

শেষমেষ সম্ভাব্য দুর্ঘটনার বিপদসঙ্কেত দেয় কিন্তু মাদ্রিদ, কেননা বিমানটি স্পেনের বাযু অঞ্চলে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, তার আগে বিমানটির ডাকারের দায়িত্বে থাকার কথা৷ ডাকার মাদ্রিদের অনেক আগে বিপদসঙ্কেত দেয়নি কেন?

বিইএ-র এ্যাঁলা বুইলার জানিয়েছেন, এএফ ৪৪৭-এর বৈমানিকরা নাকি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তিনবার ডাকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সফল হয়নি৷

বিমানটি আকাশে ভাঙেনি

বুইয়ার আরো জানান যে তাঁদের তদন্ত অনুযায়ী বিমানটি আকাশে ধ্বংস হয়নি, বরং প্রচন্ড গতিতে সমুদ্রে এসে ধাক্কা খেয়েছে৷ ব্রাজিলিয়ান কর্তৃপক্ষ লাশগুলির ময়না তদন্তের রিপোর্টও বিইএ-কে দেননি বলে তিনি অভিযোগ করেন৷

অপরদিকে দুর্ঘটনার কারণ এখনও পুরোপুরি অজ্ঞাত৷ বিমানটির গতিবেগ নির্ণয়ের জন্য পাখার প্রান্তে স্থাপিত পাইলট টিউব বা স্পীড সেন্সরগুলি ঠিকমতো কাজ করেনি এবং তা থেকেই দুর্ভাগ্যের শুরু বলে যে জল্পনা-কল্পনা চলেছে, বুইয়ার তা'তে ইন্ধন যোগাননি৷ তিনি বলেছেন যে ফরাসি তদন্তকারীরা এয়ারবাস এ৩৩০ বিমানগুলিকে আপাতত গ্রাউন্ড করার, অর্থাৎ বসিয়ে দেবার কোনো কারণ দেখেন না৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ