1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রয়াত গজল সংগীতের রাজা জগজিত সিং

১০ অক্টোবর ২০১১

গজল সংগীতের রাজা বলে খ্যাত জগজিত সিং আর নেই৷ ৭০ বছর বয়সে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে মৃত্যু হলো সুরের এই জাদুকরের৷ শোকাহত ভারত, পাকিস্তান সহ গোটা বিশ্বের গজল অনুরাগীরা৷

https://p.dw.com/p/12orZ
জগজিত সিংছবি: AP

প্রথমে পথ দুর্ঘটনায় একমাত্র পুত্রের অকালমৃত্যু৷ একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন জগজিত সিং ও তাঁর বাঙালি স্ত্রী চিত্রা সিং, যিনি নিজেও গায়িকা হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন৷ শোকের সেই আঘাত সামলাতে না পেরে গান ছেড়ে দিয়েছিলেন চিত্রা৷ জগজিত অবশ্য সংগীতকেই আঁকড়ে ধরে রইলেন৷ এলো একের পর অসাধারণ সৃষ্টি৷ শুধু উর্দু ভাষায় গাওয়া গজল নয়, হিন্দি, বাংলা, পাঞ্জাবি, গুজরাতি, সিন্ধি, নেপালি ভাষায়ও গান গেয়েছেন তিনি৷ চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক গায়ক হিসেবেও এসেছে একই রকম সাফল্য৷ গজল সংগীতকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷

গজল সংগীতের জগতে মূলত পাকিস্তানের গায়কদেরই আধিপত্য দেখা যেত৷ কিন্তু জগজিত সিং আসরে এসে দুই দেশেরই শ্রোতাদের মন জয় করে ফেললেন৷ পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ‘চায় খানা' নামের এক নামকরা ক্যাফে'তে গত কয়েক দিন ধরে শুধু জগজিত সিং-এর গান বাজানো হচ্ছিল৷ সেখানে সবাই শিল্পীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া করছিলেন৷ প্রত্যেক টেবিলে পেপার ম্যাটে লেখা ছিল, ‘আমাদের হৃদযন্ত্রে একটি স্পন্দন কম পড়েছে'৷ কিন্তু ভক্তদের প্রার্থনায় কোনো ফল হল না৷ সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের গজল গায়ক গুলাম আলির সঙ্গে একই মঞ্চে গান গাওয়ার কথা ছিল গুলাম আলির৷ কিন্তু তার আগেই জগজিত সিং অসুস্থ হয়ে পড়েন৷

বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন শিল্পী৷ মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের কারণে গত ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত সোমবার সকালে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষ জগজিত সিং-এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন৷ প্রধানমন্ত্রী নিজেও জগজিত সিং-এর গুণমুগ্ধ ভক্ত ছিলেন৷ লতা মঙ্গেশকর, জাভেদ আখতার, পঙ্কজ উদাস, বাপ্পি লাহিড়ি থেকে শুরু করে সংগীত ও অভিনয় জগতের অসংখ্য খ্যাতিমান ব্যক্তি জগজিত সিং-এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ