1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-মিয়ানমার

২৪ মে ২০১২

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ২৭শে মে মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন৷ গত ২৫ বছরে ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার যাননি৷ মূল লক্ষ্য দুদেশের প্রাচীন ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করা৷

https://p.dw.com/p/151gR
ছবি: AP

আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং যাচ্ছেন তিনদিনের মিয়ানমার সফরে৷ সঙ্গে থাকবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, অর্থনৈতিক ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা৷ প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট তেইন সেইন'এর সঙ্গে৷ মিয়ানমারের গণতন্ত্রায়নের পাশাপাশি ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, খনিজ সম্পদ – বিশেষ করে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত ভাণ্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে এই সফরের গুরুত্ব বহুমুখী৷

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের খনিজ তেল সম্পদে চীন একাই বিনিয়োগ করেছে ৭০ শতাংশ৷ তেল পরিবহনে ২৪০০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসাচ্ছে চীন৷ মিয়ানমারে তেল মজুতের পরিমাণ ৬০ কোটি ব্যারেল৷ গ্যাস ৮৮ ট্রিলিয়ন বর্গফুট৷

এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক অনিন্দ্য মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অন্য দেশের কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে উঠুক, সেটা ভারতের কাছে স্ট্র্যাটিজিক্যালি কাম্য হতে পারেনা৷ অন্যদিকে যদি এনার্জি সিকিউরিটির কথা ভাবি, সেক্ষেত্রে মিয়ানমারের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার প্রচেষ্টা থাকতেই পারে৷''

অধ্যাপক মজুমদারের মতে, ‘‘ভারতের প্রতিবেশী অঞ্চলে চীন বা অন্য কোন দেশের ক্ষমতা বা প্রভাব বেড়ে চলুক, সেটা ভারতের কাছে বাঞ্ছিত নয়৷ সেক্ষেত্রে ভারতের কিছু করণীয় থেকে যায়৷ সেটা এই সফরের অঙ্গ বলে মনে হয়'', বললেন অধ্যাপক মজুমদার৷

ভারতের সঙ্গে মিয়ানমারের প্রাচীন ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক থাকলেও সামরিক শাসনের আগে পরে তাতে ভাটা পড়ে৷ ভারত বা মিয়ানমার কারোরই কোন দায় ছিলনা৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সামরিক শাসনের পর মিয়ানমারে যখন গণতন্ত্রায়ন হচ্ছে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল হচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী ড. সিং তাঁর এই সফরে যেটা করতে পারেন, তাহলো মিয়ানমারকে সবথেকে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দিতে পারেন, সড়ক পথে ব্যবসা, মিয়ানমারে পরিকাঠামো উন্নয়ন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর ও মিয়ানমারের মান্দালয়ের মধ্যে বাস সার্ভিস, দুদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যাতাযাত, দুদেশের মুদ্রা বিনিময়ের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা উদার করা ইত্যাদি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য