1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলাম শিক্ষা

১৭ আগস্ট ২০১২

আগামী ২২শে আগস্ট নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ার স্কুলগুলোর নতুন ‘সেশন’ শুরু হচ্ছে৷ সেখানে নতুন ইসলাম শিক্ষার বই তুলে দেওয়া হবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের হাতে৷ এই নিয়ে আগ্রহ যেমন রয়েছে, তেমনির রয়েছে সমালোচনাও৷

https://p.dw.com/p/15qmK
ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানির শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মশিক্ষার তেমন কোনো জায়গা নেই৷ কেউ চাইলে তা নিজের উদ্যোগেই শিখতে হবে৷ কিন্তু এবার, জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন ওয়েস্টাফালিয়া এই ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করলো বলা যায়৷ স্কুলগুলোতে দিন দিন মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে৷ তাই প্রাথমিক স্কুলগুলোতে মুসলমান বাচ্চাদের জন্য নতুন ইসলাম শিক্ষার একটি বই ছাপানো হয়েছে৷ ইসলামের নানা শিক্ষা ও নিয়মাবলী শেখানো হবে এই বইয়ের মাধ্যমে৷

এই ব্যাপারে বইটির প্রকাশক মুহানাদ খোরখিদে বললেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো এমন একটি বই প্রকাশ করা যা সকলের জন্য হবে৷ আমরা চেষ্টা করেছি আধুনিক বিশ্বে ইসলামি মূল্যবোধগুলি কিভাবে ব্যবহার করা যায়, তা এখানকার মুসলমান সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরতে৷ এটা আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল৷ আমরা আধুনিক এবং প্রথাগত এই দুইয়ের মাঝে থাকার চেষ্টা করেছি৷''

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য এই বইটিতে কঠিন কোনো বিষয় নিয়ে আসা হয়নি৷ দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনার মাধ্যমে সহজ বিষয়গুলো তুলে আনা হয়েছে৷ এই বয়সের বাচ্চারা দ্রুত পড়তেও শেখে না, তাই তাদের কথা মনে রেখে অনেক ছবি রয়েছে বইটিতে৷ তবে এই ছবি নির্ধারণের বেলাতেও কৌশল নিতে হয়েছে প্রকাশকদের৷ কারণ বইটি জার্মানির ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই রচনা করতে হয়েছে৷

BdT Deutschland Ferienbeginn in NRW
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ইসলাম শিক্ষা দেয়া হবেছবি: AP

এই বিষয়ে মুহানাদ খোরদিদে জানান, ‘‘ধরা যাক মাথার হিজাব পরার ব্যাপারটা৷ শ্রেণিকক্ষের ছবির ক্ষেত্রে মুসলমানরা স্বাভাবিকভাবেই মনে করবে যে, ছবিটিতে যেই শিক্ষিকাকে দেখানো হবে তাঁর মাথা ঢাকা থাকবে৷ অথচ জার্মানির নিয়মে কোনো শিক্ষিকা মাথায় হিজাব পরতে পারবেন না৷ তাহলে এই ক্ষেত্রে কী করা যায়? আমরা একটু ভিন্নভাবে এর সমাধান করেছি, এমনভাবে ছবিটা আঁকা হয়েছে যাতে মনে হয় শ্রেণিকক্ষে কোনো শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন৷''

শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য এই বইটির মূল চরিত্র সারাহ এবং বিলাল৷ সারাহ'র বাবা-মা সৌদি আরবের আর বিলালের বাবা মা তুরস্ক থেকে এসেছে৷ বইটির পাতায় পাতায় দেখানো হয়, তারা জার্মান শিশুদের সঙ্গে মিশছে, খেলছে আর তাদের সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছে৷ একদিকে এটি যেমন ইতিবাচক, অন্যদিকে এটি নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে৷

এই যেমন ইসলাম গবেষক মিশায়েল কিফার বললেন, ‘‘আন্তধর্মীয় বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে৷ এটা চমৎকারভাবে করা হয়েছে, কারণ এতে শিশুরা ইহুদি এবং খ্রিষ্টান ধর্ম সম্পর্কেও ধারণা পাবে৷ তবে যেটা আমার ভালো লাগে নি, তা হলো বইয়ের চরিত্র সারাহ আর বিলালকে অভিবাসী পরিবারের দেখানো হয়েছে৷ ভালো হতো যদি ইসলামকে বিদেশ থেকে আসা কোনো বিষয় হিসেবে দেখানো না হতো৷ আমাদের ভুললে চলবে না যে এখানে তুর্কিরা বাস করছে গত প্রায় ৫০ বছর ধরে৷ অর্থাৎ এখানে মুসলমানদের চতুর্থ প্রজন্মও বাস করছে৷''

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির এই ইসলাম শিক্ষার বই পরের ক্লাসগুলোতেও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ তবে এই জন্য জার্মানির কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এখনও বাকি৷

প্রতিবেদন: উলরিক হুমেল / আরআই

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য