1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওলঁদ আফগানিস্তানে

২৫ মে ২০১২

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ আফগানিস্তান সফরে গেছেন৷ চলতি বছরেই সেদেশ থেকে ফরাসি সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনার কারণে এই সফর গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ন্যাটোর অন্যান্য সদস্য দেশ ২০১৪ সালে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/152O3
ছবি: Reuters

এ বছরের শেষে ফ্রান্স তার সব সেনাদের আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে নেবে৷ নির্বাচনে দেওয়া এই প্রতিশ্রুতি পালন করতে বদ্ধপরিকর ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ৷ এই ঘোষণায় ফলে ন্যাটোর অন্যান্য সদস্য দেশ কিছু বিব্রত এবং বিরক্ত হলেও তাতে কর্ণপাত কর করছেন না ওলঁদ৷

আজ ওলঁদ গিয়েছেন আফগানিস্তানে সেনা প্রত্যাহারের ওপর আরো জোর দিতে৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, ন্যাটো এবং আফগানদের সঙ্গে আলোচনা এবং সহযোগিতা সাপেক্ষেই তা করা হবে৷ নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথমবারের মত আফগানিস্তান সফর করছেন প্রেসিডেন্ট ওলঁদ৷ তার সঙ্গে রয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জনিভ ল্য দ্রিয়ঁ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোরঁ ফাবিউস এবং সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল এদুয়ার্দ গিইয়ো৷

আফগানিস্তানে নেমেই প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই-এর সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ওলঁদ৷ এরপরই তিনি কাপিসায় মোতায়নরত তিন হাজার পাঁচশো পঞ্চাশজন ফরাসি সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ ২০০১ সাল থেকে ফরাসি সেনারা আফগানিস্তানে রয়েছে এবং এ পর্যন্ত মারা গেছে প্রায় ৮৩ জন সেনা৷

Hollande besucht Truppen in Afghanistan Mai 2012
নির্বাচনে দেওয়া এই প্রতিশ্রুতি পালন করতে বদ্ধপরিকর ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদছবি: Reuters

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ওলঁদ বলেন, ‘‘'এই সিদ্ধান্ত নেয়ার সার্বভৌম অধিকার ফ্রান্সের রয়েছে৷ ফ্রান্স কী করতে চায় বা কী করবে সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত শুধু ফ্রান্সই নিতে পারে এবং নেয়ার ক্ষমতা রাখে৷'' কাপসিয়ার নিজরাব সামরিক ঘাঁটিতে ফরাসি সেনাদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন৷

তবে তিনি এও বলেন যে, ‘‘ফ্রান্সের সঙ্গে অন্যান্য সহযোগী দেশগুলোর সেনাবাহিনীর কাছেও তা বোধগম্য হবে৷ বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা খুব ভাল করেই সেনা প্রত্যাহারের কারণগুলো জানেন৷ আমরা আফগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷''

তিনি জানান যে, অন্তত দুই হাজার ফরাসি সেনা এ বছরের শেষে ফ্রান্সে ফিরে যাবে৷ তবে আফগানদের আশ্বস্ত করেন এই বলে যে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে ফ্রান্স সব ধরণের সাহায্য এবং সহযোগিতা করবে৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, আফগানিস্তান থেকে বের হয়ে আসার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো অস্থির হয়ে উঠেছে৷ কিন্তু কোন প্ল্যান ‘বি' কারো সামনে নেই৷ সেনারা চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তান যদি আরো অচল হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে কী করা হবে তা নিয়ে কোন আলোচনা পর্যন্ত হচ্ছে না৷

২০১১ সাল পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ন্যাটো সেনা প্রাণ হারিয়েছে আফগানিস্তানে৷ অথচ শুধু গত বছরেই তিন হাজারের বেশি আফগান মারা গেছে৷ জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে যে, বেসামরিক আফগান মারা যাচ্ছে বেশি৷ তাদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার (এএফপি, ডিপিএ)

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য