1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভুপেন হাজারিকা হাসপাতালে

১ জুলাই ২০১১

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ভুপেন হাজারিকা এখন হাসপাতালে৷ শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে ভারতের মুম্বইয়ে আন্ধেরির একটি হাসপাতালের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে তাঁকে৷

https://p.dw.com/p/11nAP
ছবি: http://our-music.blogfa.com/

৮৫ বছর বয়সি এই বিশিষ্ট শিল্পী গত বুধবার সেখানে ভর্তি হন৷ ডা. রাম নারায়ণের তত্ত্বাবধানে তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ দ্রুত তাঁকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে কিছুটা সুস্থ করে তোলা হয়েছে৷ তাঁর অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত৷ তবে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা৷

হাসপাতালে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিত্রপরিচালক কল্পনা লাজমী৷ তিনি জানান, ‘‘শেষ রাতে ভুপেনদার শ্বাস কষ্ট হচ্ছিল, তাই আমরা ওঁকে হাসপাতালে ভর্তি করি, এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল৷''

আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গোগোই শিল্পীর আরোগ্য কামনায় বার্তা পাঠিয়েছেন৷ তিনি আশা করেন, শিল্পী শীঘ্রই তাঁর অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে সুস্থ জীবন যাপন করবেন৷ উল্লেখ্য, হাজারিকা অনেক দিন ধরে হৃদরোগে ভুগছেন৷ দুই বছর আগে একই হাসপাতাল থেকে তিনি বাইপাস সার্জারি করিয়েছেন৷

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ভুপেন হাজারিকা একাধারে কবি, সংগীত পরিচালক, গায়ক, অভিনেতা, সাংবাদিক, লেখক ও চলচ্চিত্রকার৷ পেশাগত জীবনে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে অসংখ্য পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি৷ এর মধ্যে রয়েছে দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড, পদ্মভূষণ, সংগীত-নাটক একাডেমি রত্ন ও আসাম রত্ন পদক৷

ভুপেন হাজারিকার জন্ম ১৯২৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের আসাম রাজ্যের সাদিয়ায়৷ মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে গান লিখে সুর দিতে থাকেন তিনি৷ ১২ বছর বয়সে ‘তালকি' ও ‘ইন্দ্রমালতী' নামে দুটি আসামিয়া ছবিতে গান গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন৷ ১৯৪২ সালে গুয়াহাটির কটন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন৷ এরপর ১৯৪৪ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ছেচল্লিশে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেন হাজারিকা৷

১৯৫৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন ড. ভুপেন হাজারিকা৷ দীর্ঘকাল তিনি ছিলেন বামপন্থি শিবিরের সঙ্গে যুক্ত৷ তবে সাম্প্রতিককালে হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপি'তে যোগ দিয়ে তিনি প্রচণ্ডভাবে বিতর্কিত হয়েছেন৷ তবুও দরাজ গলার অধিকারী এই শিল্পী প্রতিভার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক