‘বিমুখ মৌলবাদী’
১৮ নভেম্বর ২০১২উদ্বোধনী অধিবেশনে দোহার লাল গালিচা বিছানো চত্বরে অন্যান্যের সাথে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন তারকা রবার্ট ডে নিরো৷ তিনি নিউইয়র্কে ট্রাইবেকা চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা৷ ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পর ম্যানহাটনের সাংস্কৃতিক জগতকে চাঙ্গা করতে নিরো এবং তাঁর সহকর্মীরা সেখানে এই উৎসব আয়োজন শুরু করেন৷ এ বছর ট্রাইবেকা উৎসব কর্তৃপক্ষ কাতারের সাথে যৌথ উদ্যোগে বার্ষিক দোহা উৎসবের আয়োজন করেছে৷
উদ্বোধনী ছবি ‘দ্য রিলাকট্যান্ট ফান্ডামেন্টালিস্ট' পশ্চিমা জগতের সাথে ইসলামের সম্পর্কের মর্মস্পর্শী প্রেক্ষিত তুলে ধরেছে৷ ছবিটিতে দেখানো হয়েছে হার্ভার্ড-এ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকারী এক পাকিস্তানি তরুণ এবং ওয়াল স্ট্রিটের বড়মাপের ব্যবসায়ীর উভয়সংকটের নানা দিক৷ ছবিটির নানা পর্যায়ে প্রতিভাত হয়েছে পাকিস্তানি তরুণের মার্কিন স্বপ্ন এবং ইসলামের মৌলিক ধারার মধ্যে সমঝোতার কষ্টসাধ্য প্রচেষ্টা৷ দোহা ফিল্ম ইন্সটিটিউটের অর্থায়নে তৈরি নায়ারের ছবিটি গত জুলাই মাসে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবেও উদ্বোধনী ছবি হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছিল৷ আর নায়ার ২০০১ সালে ‘মোনসুন ওয়েডিং' তথা ‘মৌসুমী বিয়ে' নামের ছবিটির নাট্যধারার জন্য ভেনিস উৎসবে স্বর্ণ সিংহ পদক জয় করেন৷
দোহা উৎসবে স্থান পাওয়া ২৭টি ছবির মধ্যে আরো দু'টি ছবি রয়েছে যেগুলো চরমপন্থী মুসলমানদের কার্যকলাপকে ঘিরে নির্মিত৷ এগুলোর একটি মরোক্কান পরিচালক নাবিল আয়ুচের তৈরি ‘স্রষ্টার ঘর'৷ এটি তৈরি করা হয়েছে ২০০৩ সালের কাসাব্লাঙ্কা বোমা হামলার ঘটনাবলী নিয়ে৷ আর অপর ছবিটি হলো আলজেরীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি পরিচালক মেরজাক আলুয়াচের ‘অনুশোচনাকারী'৷ এতে তুলে ধরা হয়েছে এমন এক জঙ্গির ঘটনা যে চরমপন্থী সংগঠন ছেড়ে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাচ্ছে৷
এএইচ / এআই (এএফপি)