1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনৈতিক আস্ফালন

৫ মার্চ ২০১২

মিছিল এবং পাল্টা মিছিল, প্রকারান্তরে যেন শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে৷ এই জাঁতাকলে পড়ে বিধ্বস্ত জনজীবন৷

https://p.dw.com/p/14FJD
ছবি: DW

লোকে বিরক্ত বললেও কম বলা হয়৷ গত কয়েকদিনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজনৈতিক দলগুলির শক্তি প্রদর্শনের এই প্রায় ছেলেমানুষি প্রতিযোগিতায়৷ সিপিএম মিছিল করেছে, সেই মিছিলে প্রচুর লোক হয়েছে, সে কথা সংবাদমাধ্যম বেশ ফলাও করে প্রচারও করেছে এবং সেই সঙ্গে এই টিপ্পনি জুড়ে দিতেও ভোলেনি যে ঠিক তার আগেই, শহরের ওই একই অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস যে মিছিল করেছিল, তার তুলনায় বেশি লোক হয়েছিল বামপন্থী মিছিলে৷ এই সামান্য উস্কানিতেই দ্বিতীয় একটি মিছিলের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস, যার নেতৃত্বে এবার দলের নেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং৷ প্রচুর জনসমাগম ঘটিয়ে, দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে যানজট ছড়িয়ে প্রমাণ করতে হল, জনগণ এখনও তৃণমূলের সঙ্গেই আছে৷

একই ঘটনা ঘটল উত্তর-পূর্ব শহরতলির রাজারহাটেও৷ দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের মিছিলের দিন রাজারহাটে মিছিল করেন বামফ্রন্টের নেতারা৷ পর দিনই ফের সেখানে দীর্ঘতর মিছিল করে নিজেদের শক্তি জাহির করল তৃণমূল কংগ্রেস৷

একটি রাজনৈতিক দল মিছিল করলে তার পাল্টা মিছিল বার করা যদিও কোনও নতুন ঘটনা নয়৷ কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হল, সরকার আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে, আরও রাজনৈতিক সংযমের পরিচয় দেবে, এটাই তাদের কাছে সম্ভবত প্রত্যাশিত ছিল৷ যেমনটা মনে করেন শিল্পোদ্যোগী জয়দীপ দাশগুপ্ত৷

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে ধর্মঘট, বনধ তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ এই মিটিং-মিছিলের দুর্ভোগ থেকেও এবার সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে রাজনৈতিক উদ্যোগ শুরু হোক, এটাই এখন চাইছে মানুষ৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য