1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্য সংকট

২১ ডিসেম্বর ২০১২

নতুন করে বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে ইসরায়েল চাপের মুখে৷ জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের দেশগুলো বলেছে এ পদক্ষেপ শান্তি স্থাপনের পথে অন্তরায়৷ জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কিছু দেশও সতর্ক করে দিয়েছে ইসরায়েলকে৷

https://p.dw.com/p/176OY
ছবি: dapd

ইসরায়েল মনে করে, শান্তি স্থাপনের জন্য ফিলিস্তিনের উচিত নিঃশর্ত আলোচনায় বসা৷ কিন্তু অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে বসতি স্থাপনের অনুমোদন দেয়ার পর সেটা কীভাবে সম্ভব তা দেশটি বলেনি৷ এদিকে ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রও পড়েছে অস্বস্তিতে৷ সরাসরি কোনো বিবৃতি না দিলেও বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দূত সুজান রাইস নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে, ইসরায়েলের এ তৎপরতাকে ‘উস্কানিমূলক' বলে অভিহিত করেছেন৷

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলেন, ‘‘পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের আশপাশে বসতি নির্মাণ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন৷ এটা কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে বড় হুমকি৷'' এ সময় এভাবে নতুন বসতি নির্মাণ করে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতকে ঝুঁকির মধ্যে না ফেলার আহ্বানও জানান তিনি৷ খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে ইসরায়েলকে শান্তি আলোচনা শুরু করতেও বলেছেন বান কি-মুন৷

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাকি সব সদস্য দেশই ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে বসতি স্থাপনের অনুমোদন দেয়ায় সরাসরি উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷ ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ পরিকল্পনার বিরোধিতা করে এ পরিকল্পনা থেকে দেশটিকে সরে আসতে বলেছে তারা৷ জাতিসংঘে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও পর্তুগালের দূতরাও এক বিবৃতিতে একই আহ্বান জানিয়েছে৷ বিবৃতিতে বলা হয়, তাঁরা ইসরায়েলের নতুন করে বসতি স্থাপনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে এবং তাঁরা মনে করেন, এর ফলে ইসরায়েল শান্তি প্রক্রিয়াকে কঠিন করার পথে এগোচ্ছে৷ তবে ইসরায়েল জানিয়েছে বসতি সম্প্রসারণে এগিয়ে যাবে তারা৷ জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত রন প্রসর বলেন, এ বসতি স্থাপন অনেক আগেই হবার কথা৷ তিনি দাবি করেন, বসতি স্থাপন শান্তি স্থাপনের পথে কোনো বাধা নয়, বাধা হলো আলোচনা থেকে দূরে থাকা আর নিঃশর্ত আলোচনায় এসে ফিলিস্তিনই পারে সে বাধা দূর করতে৷

Israel Siedlungsbau Jerusalem Siedlung Maale Adumim
জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের দেশগুলো বলেছে ইসরায়েলের পদক্ষেপ শান্তি স্থাপনের পথে অন্তরায়ছবি: picture alliance / landov

ওদিকে রাশিয়া বলেছে, পরিস্থিতির অবনতি রোধ করতে ইসরায়েলের উচিত বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করে দেখা৷ জাতিসংঘে সে দেশের দূত ভিতালি চারকিন সংকট নিরসনের উপায় সন্ধানের জন্য জরুরি বৈঠক আয়োজনেরও অনুরোধ জানান৷ জাতিসংঘে জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্র আজারবাইজান, কলম্বিয়া, ভারত, গুয়াতেমালা, মরক্কো, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা আর টোগোও আলাদা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের নতুন করে বসতি স্থাপনের উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছে৷ চীন জানিয়েছে তারাও ইসরায়েলের এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে৷ সবার বিরোধীতার পরও  ইসরায়েলের একই কথা – বসতি স্থাপন চলবে৷  

বুধবারও পূর্ব জেরুজালেমে নতুন বসতি গড়ে সেখানে ২ হাজার ৬১০টি ঘর তৈরির পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল৷ এছাড়া পশ্চিম তীরেও নতুন করে এক হাজার ঘর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি৷

পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে বিরোধ অনেক পুরোনো৷ ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল৷ তখন থেকে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি গড়ে তুলছে ইসরায়েল৷ এখন সেখানে প্রায় পাঁচ লাখ ইহুদির বাস৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য