1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী অধিকার

২৩ জানুয়ারি ২০১৩

পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান সুনন্দা মুখার্জি ডয়চে ভেলের কাছে দাবি করলেন আইনের পুনর্বিন্যাস, পুলিশের সচেতনতা বৃদ্ধি, ফরেন্সিক টেস্টের মাধ্যমে দোষীদের সনাক্তকরণ ও দ্রুততর বিচার প্রক্রিয়া৷

https://p.dw.com/p/17PDh
PICTURE POSED BY MODEL. A rape victim waits to be seen by the doctor in the medical room at a specialist rape clinic in Kent. (31.01.2007). Foto: Gareth Fuller +++(c) dpa - Report+++
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa

‘‘পুলিশের পদক্ষেপটা আরেকটু জোরদার করা দরকার৷ আইনের কিছু পরিবর্তন করা দরকার৷ এবং দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি হওয়া দরকার,'' বললেন সুনন্দা মুখার্জি৷

উদাহরণ দিলেন ধর্ষণের পর মহিলাদের তথাকথিত মেডিকাল টেস্ট-এর, যেখানে সাধারণত বলা হয়, ‘কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না'৷ তাঁর অভিযোগ, শুধু ধর্ষণই নয়, মহিলাদের উপর আক্রমণ সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়কে বড় শিথিলভাবে নেওয়া হয়, ফাঁক-ফোকর থেকে যায়৷ সেই ফাঁকগুলো আটকানোর জন্য আইনগুলোর আরো বিন্যাস দরকার৷ এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া দরকার, বিশেষ করে অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য৷

BM/230113/Interview: Sunanda Mukherjee, Chairman, Women's Commission - MP3-Mono

শুধু মেডিকাল চেক করে ছেড়ে দেওয়া নয়, সুনন্দা চাইছেন জেলায় জেলায় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি হোক, যেখানে ফরেন্সিক টেস্ট করার ব্যবস্থা থাকবে৷ অরপাধীদের মনেও এর ফলে ভয় হবে, কেননা তারা চিহ্নিত হতে পারে৷ দ্বিতীয়ত, বিচার প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত করতে হবে, ধর্ষণের মামলা তিন বছর, চার বছর, পাঁচ বছর ধরে গড়ালে চলবে না: ‘‘এর ফলে মানুষের মনে বিচার সম্পর্কে শ্রদ্ধা নষ্ট হয়ে যায়৷ অপরাধীরাও এতটা সময় ধরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতে পারে এবং অপরাধের সমস্ত প্রমাণ নষ্ট করে দেবার একটা সুযোগ পায়৷''

পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণের মামলা চললে ‘‘মেয়েটি মানসিক শক্তি হারায়, তাঁর সামাজিক অবমাননা হয়, শেষমেষ বিচার পায় না''৷

এক্ষেত্রে কোন স্তর থেকে পুলিশের সচেতন হওয়া উচিত, এ প্রশ্নের জবাবে সুনন্দা মুখার্জি বললেন, ‘‘একেবারে বুনিয়াদি জায়গা থেকে, যখন একটি মেয়ে তাঁর অভিযোগ নথিভুক্ত করতে প্রথম পুলিশের কাছে যায়৷'' সেখানেও ঠিক সেকশনটি লাগানো দরকার, ৩৭৬ ধারার এ, বি না সি, অপ্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে এফ, গণধর্ষণের জন্য টু-জি৷ কিন্তু তা না করে স্রেফ ‘মলেস্টেশন' বা যৌন হয়রানি লিখে ছেড়ে দেওয়া হয়৷

হাসপাতালেও মেডিকাল টেস্ট হয় যেন তেন প্রকারে, অভিযোগ করলেন সুনন্দা মুখার্জি৷ অথচ ঐ মেডিকাল টেস্টকে ফরেন্সিক টেস্টের পর্যায়ে নিয়ে আসা উচিত, কেননা অপরাধীর সনাক্তকরণের জন্য সোয়াব টেস্টে যে ‘সিমেন' পাওয়া যেতে পারে, তার আয়ু মাত্র দিন দু'য়েক৷ তার পরে তা শুকনো হয়ে নষ্ট হয়ে যায়৷

অন্যদিকে, সনাক্তকরণ প্যারেডে অপরাধীকে চিহ্নিত করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না৷ ‘‘ক'টি মেয়ের ক্ষমতা থাকে গ্রাম বাংলায়, সেই মামলাকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবার?'' প্রশ্ন করলেন সুনন্দা মুখার্জি নিজে৷ এবং পরিস্থিতি খুব দ্রুত বদলানোর কোনো সম্ভাবনাও সুনন্দা দেখছেন না৷

Anti-rape protesters at Jantar Mantar in New Delhi, India on January 01, 2013. Photo by IANS/ABACAUSA.COM
গণধর্ষণের প্রতিবাদে দিল্লিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছেছবি: picture alliance/abaca

পরিস্থিতি বদলানোর জন্য প্রয়োজন: ‘‘মহিলাদের একজন মানুষ হিসেবে দেখতে হবে৷ মহিলারাও মানুষ, একেবারে সহজ-সরলভাবে মানুষ৷ তাঁকে ভগবানও বানাতে হবে না, দেবীও করতে হবে না৷ একেবারে পৃথিবীর অন্যান্য মানুষের মতো সে-ও খায়-দায়, ঘুমোয়, আহার-নিদ্রা-মৈথুন, তাঁর সব কিছুর দরকার আছে৷ এইভাবে তাঁকে দেখতে হবে, দেখার অভ্যাস করতে হবে,'' বললেন সুনন্দা মুখার্জি৷

সাক্ষাৎকার: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য