1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘নলিউড’’ বিশ্বসেরা

১৪ জুলাই ২০১২

অবশ্য শুধু সংখ্যার বিচারে৷ কিন্তু নাইজিরিয়ার নলিউড ছবির ভক্ত শুধু আফ্রিকা জুড়েই নয়৷ ইউরোপ, অ্যামেরিকা, যেখানেই আফ্রিকা থেকে আগত অভিবাসীরা আছেন, সেখানেই নলিউড ছবির গ্রাহক পাওয়া যাবে৷

https://p.dw.com/p/15Xll
A man walks past a broken electricity transformer in Lagos, Nigeria Wednesday Feb. 7, 2007. Nigeria claims ownership of one of the world's great energy reserves, but corruption and mismanagement leave Africa's oil giant chronically short of electricity. Businesses and walled residential compounds run costly diesel generators, while the vast majority of Nigeria's 140 million people live their lives in near-perpetual gloom. (ddp images/AP Photo/Sunday Alamba)
ছবি: picture-alliance/dpa

নলিউড নাকি বছরে এক হাজার থেকে দু'হাজার ছবি তৈরি করে, হলিউড কি বলিউড যার ধারে-কাছেও পৌঁছতে পারবে না৷ অপরদিকে মনে রাখা দরকার, নাইজিরীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি'র বাৎসরিক রোজগার মোট ২৫ কোটি ডলার, একটিমাত্র হ্যারি পটার কিংবা স্পাইডারম্যান ছবির বাজেট যার কাছাকাছি৷

নলিউডে সবই প্রায় সস্তাদরের প্রোডাকশন৷ বিনিয়োগ কম, সরকারি ভর্তুকি নেই বললে চলে৷ কাহিনি বলতে প্রেম-ক্ষমতালোলুপতা-বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে নানা ধরণের মেলোড্রামা৷ আফ্রিকা ম্যাজিক'এর মতো টেলিভিশন কেন্দ্রগুলি থেকে ২৪ ঘণ্টা এ ধরণের নাইজিরীয় ছবি দেখানো হয়, অনেকটা প্রায় ব্রাজিলের টেলেনভেলা'গুলির মতো৷ এছাড়া এসব ছবি রাস্তার দোকানদার এবং ফিরিওয়ালারাও বিক্রি করে থাকে৷ এছাড়া আছে ভিডিও ক্লাব৷ কিন্তু খোদ নাইজিরিয়াতেই ডজন দু'য়েকের বেশি সিনেমা হল নেই, আফ্রিকার অন্যান্য দেশে তো আরও কম৷

সব মিলিয়ে ছবিগুলোর মান এমন নয় যে, সেগুলো কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে লোকের মন কিংবা চোখ কাড়তে পারে৷ তবে আফ্রিকার চলচ্চিত্র উৎসবগুলিতে নাইজিরিয়ার ছবি নিয়মিত পুরস্কার পেয়ে থাকে৷ ইউরোপের খ্যাতনামা চিত্রপরিচালকদেরও আফ্রিকান ছবির ‘‘আশাজনক তৃণমূল আন্দোলন''-এর কথা বলতে শোনা গেছে৷

nollywood

সহজ-সরল ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে মাত্র কয়েক দিন কিংবা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তোলা এই সব ছবি৷ নাইজিরিয়ায় কোনো ফিল্ম স্টুডিও নেই৷ অধিকাংশ ছবির মোট বাজেট - ফিল্ম ক্রু, অভিনেতা-অভিনেত্রী, পোশাকআশাক, ব্যাকড্রপ, পরিবহণ, টেকনিকাল এফেক্ট, সব কিছু মিলিয়ে - সাকুল্যে দশ থেকে ত্রিশ হাজার ডলার৷

এই পরিস্থিতিতে নাইজিরিয়ার ছবি পশ্চিমি দর্শকদের কাছে কাঁচা হাতের, এমনকি অজ্ঞানত হাস্যকর বলে মনে হতে পারে৷ অপরদিকে আফ্রিকান দর্শকদের কাছে এই ছবিগুলোই তাদের বাস্তব৷ কিছু দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে৷ এক বেশ্যালয়ের মালিক গ্রামাঞ্চলের এক সরল কিশোরীকে ভুলিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, বলছে, সে নাকি তাকে হোটেলে ওয়েট্রেসের চাকরি দেবে৷ কিংবা এক ডাইনির অভিশাপের ফলে এক দম্পতির দু'পক্ষের পরিবারের মধ্যে সম্পর্কে বিষাক্ত হয়ে উঠল৷ ডাইনিবিদ্যা-ঝাড়ফুঁক, ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি, এই সব নিয়েই ছবির প্লট৷ আর আছে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ, নারী নির্যাতন৷

সহজ-সরল সব দৃশ্য, অ্যাকশনের বিশেষ কোনো বালাই নেই, কেননা তাতে খরচ পড়ে৷ সব সামলানো গেলেও, বাকি থাকছে পাইরেসি: ছবি মুক্তি পাবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তার জাল করা কপিতে বাজার ছেয়ে যায়৷ এ'ও নলিউডের বাস্তব৷

এসি / এএইচ (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য