1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি

১৭ নভেম্বর ২০০৯

মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে৷ বার্লিন ও ঢাকায় প্রকাশিত রিপোর্টে এবছর বাংলাদেশের অবস্থান ত্রয়োদশ৷

https://p.dw.com/p/KZId
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান উগেৎ লাবেলছবি: picture-alliance/dpa

বাংলাদেশের উন্নতি

চলতি বছর ট্রান্সপারেন্সির ১০টি শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত তালিকায় বাংলাদেশ আর স্থান পায় নি৷ বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সোমালিয়া৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান ও তৃতীয় মিয়ানমার৷ এবছর বাংলাদেশের অবস্থান ত্রয়োদশ – সম্পূর্ণ তালিকায় ১৩৯তম৷ অন্যদিকে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার প্রথম ৩টি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক ও যৌথভাবে সিঙ্গাপুর ও সুইডেন৷ জার্মানি ১৪ নম্বর স্থানে রয়েছে৷

বার্লিনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সদর দফতরের পাশাপাশি ঢাকায় ঐ সংগঠনের বাংলাদেশ শাখাও বার্ষিক সূচক প্রকাশ করেছে৷ টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান তালিকাটি প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ও প্রশাসনিক সংস্কার এবং বর্তমান সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অঙ্গীকার ও বিগত সরকারের কিছু প্রশাসনিক সংস্কার অব্যাহত রাখার কারণে স্কোর বেড়েছে৷ তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি হলেও দেশে দুর্নীতি কমেনি৷

জার্মানির পরিস্থিতি

বিশ্বব্যাপী আর্থিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাৎসরিক রিপোর্টে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় লক্ষ্য করা গেছে৷ যেমন জার্মানিতে অনেক বেসরকারী সংস্থা অতীতের তুলনায় অনেক বেশী দুর্নীতির দিকে ঝুঁকেছে৷ বিশেষ করে অনেক মাঝারি বা ছোট আকারের সংস্থা যে কোন মূল্যে অর্ডার জোগাড় করতে অসৎ পথে হাঁটছে৷ দুর্নীতি দমনের উদ্দেশ্যে জার্মান সরকারের উদ্দেশ্যে এক সার্বিক কৌশল অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে ঐ সংগঠন৷ এর আওতায় দুর্নীতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলিকে সরকারী অর্ডার থেকে বঞ্চিত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে৷

সামগ্রিক সমস্যা

বিভিন্ন দেশের সরকার একাধিক ব্যাঙ্কের অস্তিত্বের স্বার্থে যে কোটি কোটি ডলার সহায়তা করে চলেছে, সেক্ষেত্রেও দুর্নীতির আশঙ্কা সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি৷

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান উগেৎ লাবেল বলেন, সোমালিয়ার মত বিশ্বের যেসব সঙ্কট এলাকায় আকাশছোঁয়া দুর্নীতি রয়েছে, সেখানে আশার আলো নেই বললেই চলে৷ কারণ সেই সব দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো কার্যত ভেঙে পড়ার ফলে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়৷ দেশে যে সামান্য সম্পদ থাকে, অনেকেই তা লুঠ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে৷

উন্নয়নশীল দেশগুলিতে দুর্নীতির জন্য ট্রান্সপারেন্সি শিল্পোন্নত দেশগুলিকেও অনেকাংশে দায়ী করেছে৷ কারণ তারা অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলির সরকার ও আমলাদের সহায়তা করে থাকে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল ফারূক