1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ এশীয়দের জন্য মোটা হওয়াটা বেশি ক্ষতির

২৯ জুলাই ২০১১

মোটা হলে শরীরে নানা ধরনের অসুখ বাসা বাঁধে৷ এটা সবাই জানে৷ তবে মোটা হলে দক্ষিণ এশিয়ার লোকজনের যেমন অসুবিধা হয়, তেমনটা হয় না ককেশীয়দের৷

https://p.dw.com/p/1260D
ছবি: picture alliance/dpa

ইউরোপ ও এশিয়ার মাঝের দেশগুলোতে যারা বাস করেন তাদের বলা হয় ককেশীয়৷ এদের শরীর মোটা হলেও তারা রোগশোকে একটু কমই ভোগেন৷ কেননা মেদ জমার মতো পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে তাদের শরীরে৷ যেটা নেই আমার আর আপনার মতো দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের৷ ফলে আমাদের অসুখ হয় বেশি৷

ক্যানাডার একদল বিজ্ঞানী গবেষণা চালিয়ে এই তথ্যটি বের করেছেন৷ এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোনিয়া আনন্দ৷ তিনি বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের ত্বক বা চামড়ার নীচে মেদ জমার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই৷ তাই অতিরিক্ত মেদগুলো পাকস্থলী ও লিভার সহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে সেগুলোর ক্ষতি করে৷ ফলে নানান অসুখ দেখা দেয়৷ অথচ সেই তুলনায় ককেশীয়রা মোটা হলেও শরীরের গঠনের কারণে তাদের চামড়ার নীচে মেদ জমার মতো প্রচুর জায়গা রয়েছে৷ ফলে অসুখও তাদের তাড়া করে ফেরে না৷

এজন্য দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়ার যেসব মানুষ একটু মোটা, তারা ককেশীয়দের কাছে ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী বলে পরিচিত৷ অথচ দেশে তাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে কিনা সেই পরীক্ষা করতে হয়৷

গবেষণাটি করা হয়েছে ক্যানাডায়৷ মোট ১০৮ জনের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়েছে৷ এর মধ্যে কিছু ছিলেন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা থেকে ক্যানাডায় অভিবাসী হওয়া প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের লোকজন৷ আর বাকিরা ককেশীয়৷

গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন আর্য শর্মা৷ তিনি আবার ‘ক্যানাডিয়ান ওবেসিটি নেটওয়ার্ক'এর পরিচালকও৷ তিনি বলছেন, এই গবেষণার ফলে এটাই প্রমাণিত হলো কেন ককেশীয়দরে তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার মোটা মানুষরা ওজনজনিত রোগে বেশি ভোগেন৷

শর্মা বলছেন, এই গবেষণার ফলাফল চিকিৎসকদেরও একটা বার্তা দিচ্ছে৷ সেটা হচ্ছে - এখন থেকে দক্ষিণ এশিয়ার একটু মোটা লোকজন দেখলেই তাদের হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের পরীক্ষা করতে হবে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক