1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তেজস্ক্রিয়তার ভয়ে জাপান থেকে খাবার আমদানি বন্ধ

২৪ মার্চ ২০১১

ফুকুশিমার পরমাণু চুল্লি বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয়তা খাবার এবং পানিতে ছড়িয়ে পড়েছে৷ জাপানসহ আশেপাশের দেশের মানুষ আতঙ্কিত৷ রাশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়া সহ বেশ কিছু দেশ জাপান থেকে খাবার আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10gh9
জাপানে দুধে তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছেছবি: Picture alliance/dpa

ফুকুশিমার পরমাণু চুল্লির বিস্ফোরণের পর আশেপাশের মানুষ তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে নাক এবং মুখ ঢেকে চলাফেরা শুরু করেছিল৷ কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না৷ খাবার এবং পানিতে তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে জাপানে৷ আতঙ্কিত জাপানের প্রতিটি মানুষ৷ একজন মহিলা কাঁদতে কাঁদতে জানালেন, ‘‘আমি খুবই চিন্তিত৷ খাবারে তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে৷ আমার মধ্যে এবং বাচ্চাদের শরীরে তা প্রবেশ করেছে কিনা জানিনা৷ আমার বাচ্চারাই আমার কাছে সবকিছু৷''

এরকম আরো কতজন মানুষ জাপানে কাঁদছে, আতঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে তা কেউ জানে না৷ কোনভাবেই নির্ধারণ বা নিরূপণ করা যাচ্ছে না ঠিক কোন অঞ্চল পর্যন্ত এই তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে৷ ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক মহল জাপান থেকে খাবার আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

রাশিয়া আপাতত জাপান থেকে খাবার আমদানি বন্ধ রেখেছে৷ ১১ই মার্চের পর থেকে যে সব খাবার রাশিয়া আমদানি করেছে, তা যেন কোন অবস্থাতেই ব্যবহার করা না হয় তার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে৷

NO FLASH Japan Atomkastastrophe Verstrahlte Nahrung
রাশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়া সহ বেশ কিছু দেশ জাপান থেকে খাবার আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেছবি: dapd

রাশিয়ার একা নয়৷ সঙ্গে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা এবং সিঙ্গাপুর৷ অ্যামেরিকা এবং হংকংও জাপানের তৈরি বিভিন্ন খাবার সহ সামুদ্রিক খাবারও আমদানি করছে না৷ ফ্রান্স চাইছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করুক৷

শুধু খাবার নয়, অস্ট্রেলিয়া বিভিন্ন ধরণের দুগ্ধজাত পণ্য সহ ফলমূল এবং শাক-সব্জিও জাপান থেকে আমদানি করতো – এই মুহূর্তে তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে৷ ফিলিপিন্স চকোলেট আমদানি করতো জাপান থেকে – ১১ই মার্চের পর থেকে তা বন্ধ রয়েছে৷

জাপান সরকার নিজেও বিভিন্ন দেশে খাবার রপ্তানি বন্ধ রেখেছে৷ খাবার এবং দুগ্ধজাত পণ্য পরীক্ষা না করে তা যেন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে৷ খাবার এবং পানীয় এখন আমদানি করা হচ্ছে আশেপাশের দেশ থেকে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কিছু খাবার প্রস্তুতকারী কোম্পানি জানিয়েছে, জাপানের কাছ থেকে বেশ কিছু অর্ডার তারা পেয়েছে৷ এর মধ্যে ইন্সট্যান্ট নুডলস এবং পানির অর্ডার রয়েছে সবচেয়ে বেশি৷ সিওকসু এ্যান্ড পুরিস কোম্পানি জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা প্রায় দুই লক্ষ কেস ভর্তি পানির বোতল জাপানে পাঠিয়েছে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন