1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্বল তালেবান

কাই ক্যুস্টনার/এসবি১২ নভেম্বর ২০১২

আফগানিস্তানে আইসাফ বাহিনীর দাবি, তালেবান অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আইসাফ মুখপাত্র বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/16h5z
জেনারেল কাৎস মনে করেন, ‘‘প্রথমত আমাদের মেনে নিতে হবে, যে তালেবান তখনো অবশ্যই টিকে থাকবে৷ অর্থাৎ আফগান বাহিনীকে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে৷ তবে আমরা, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সমাজ তখনো এখানে সক্রিয় থাকবো, তাদের সহায়তা করে যাবো৷ মোটকথা আফগানদের একা এই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে না৷''
ছবি: picture-alliance/dpa

২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করলে সে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই৷ বিশেষ করে তালেবান তখন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে৷ কিন্তু জার্মান রেডিও এআরডি'র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আইসাফ বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গ্যুন্টার কাৎস একেবারে অন্য রকম এক চিত্র তুলে ধরলেন৷ তিনি মনে করেন, তালেবান এখনই অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে৷

জার্মান সেনাবাহিনীর এই জেনারেলের ভাষায়, ‘‘আগের বছরের তুলনায় গত তিন মাসে হামলার সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ কমে গেছে৷ শুধু অক্টোবরের কথা ধরলে প্রায় ১৫ শতাংশ কম হামলা ঘটেছে৷''

আইসাফ বাহিনী অবশ্য শুধু সেই সব হামলা নথিভুক্ত করে, আন্তর্জাতিক বা আফগান বাহিনীর সৈন্যরা যার শিকার হয়৷ নিরীহ মানুষের উপর হামলার ঘটনা সেই পরিসংখ্যানে স্থান পায় না৷ জেনারেল কাৎস'এর সূত্র অনুযায়ী গত তিন মাসে প্রায় ১,১০০ নিরীহ মানুষ তালেবান হামলার শিকার হয়েছে৷ এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, ২০১৪ সালের পর আফগান নিরাপত্তা বাহিনী কি একা হাতে বিদ্রোহীদের দমন করতে পারবে?

Britische Soldaten in Afghanistan ISAF 2012
আফগানিস্তানে নিযুক্ত ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আইসাফ বাহিনীছবি: picture-alliance/dpa

জেনারেল কাৎস মনে করেন, ‘‘প্রথমত আমাদের মেনে নিতে হবে, যে তালেবান তখনো অবশ্যই টিকে থাকবে৷ অর্থাৎ আফগান বাহিনীকে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে৷ তবে আমরা, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সমাজ তখনো এখানে সক্রিয় থাকবো, তাদের সহায়তা করে যাবো৷ মোটকথা আফগানদের একা এই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে না৷''

তবে এখনো আরও প্রায় দুই বছর সময় রয়েছে৷ অনেক সমস্যাও রয়ে গেছে৷ যেমন ‘সর্ষের মধ্যে ভুত'৷ অর্থাৎ আফগান বাহিনীর মধ্য থেকেই বিদেশি সৈন্যদের উপর হামলা বেড়ে চলেছে৷ জেনারেল গ্যুন্টার কাৎস অবশ্য মনে করেন, প্রতিটি হামলার পর তালেবান দায় স্বীকার করতে এগিয়ে আসে বটে, কিন্তু ঘটনা হলো নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতেই তাদের প্রচারণার মাত্রা বেড়ে চলেছে৷ তালেবানের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাহিনীর চররাই এই খবর দিচ্ছে৷ তবে তা সত্ত্বেও কোনো রকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হচ্ছে না৷ আচমকা হামলা ঠেকাতে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে৷ সৈন্যদের সব সময়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে৷ জেনারেল কাৎস নিজে টেবিলের উপর পিস্তল রেখে বসেন, যাতে প্রয়োজনে দ্রুত গুলি চালাতে পারেন৷ সব বিদেশি সৈন্যকেই সারা দেশে এখন এই নিয়ম মেনে চলতে হয়৷

এছাড়া ন্যাটো ও আফগান সৈন্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা সবাই বোঝে, কোন পরিস্থিতিতে তাদের চরম প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে৷ প্রায় এক দশক পরেও এমন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হওয়ায় কিছু মহলে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷ তবে দেরিতে হলেও এমন পদক্ষেপের প্রয়োজনের কথা মেনে নিচ্ছে সবাই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য