1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাঁত কাপড়ের প্রতি মনোযোগী ভারতীয় নকশাকাররা

১ অক্টোবর ২০০৯

ভারতে আবারো ফিরে আসছে মহাত্মা গান্ধীর প্রিয় খদ্দর কাপড়৷ তবে এই কাপড় এখন শুধু গরীব বা নিন্মবিত্ত মানুষের জন্য নয়৷ নকশা করা খদ্দর এবার, ক্রেতাদের নজর কাড়ার অপেক্ষায়৷

https://p.dw.com/p/JvUK
ভারতে আবারো ফিরে আসছে মহাত্মা গান্ধীর প্রিয় হাতে বোনা তাঁতের, খদ্দর কাপড় (ফাইল ফটো)ছবি: AP

মহাত্মা গান্ধী এবং তাঁত এই দুটো বিষয়ের সঙ্গে সকলেই কম বেশি পরিচিত৷ ভারতের জাতির জনক গান্ধীর পরিধেয় কাপড় ছিল ঐতিহ্যবাহী খদ্দর কাপড়ের ভারতীয় ধুতি এবং শাল৷ তিনি ভারতীয়দের ব্রিটিশ পণ্য বর্জন এবং কর্মসংস্থান তৈরির জন্য তাঁত শিল্পকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন৷ যেই তাঁতের কাপড় পরে পুরো বিশ্বের কাছে ভারতে একটি গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়৷

সেই থেকে তাঁতের কাপড়ের প্রচলন থাকলেও তা খুব কম দামে বিক্রি হতো এবং সবশ্রেণীর মানুষ এর সঙ্গে ঠিক পরিচিত নয়৷ ভারত এখন পশ্চিমা পোশাক এবং সিনথেটিক কাপড়ের বাজারে পরিণত হয়েছে৷ তবে আশার বিষয় হচ্ছে, ভারতের পোশাক নকশাকাররা নতুন করে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন তাঁতের কাপড়ের প্রতি৷

তাইতো গেল শনিবার কলকাতায় আয়োজন করা হয়েছিল এমন এক ফ্যাশান শোর যার উদ্দেশ্যই ছিল তাঁতের কাপড়কে জনপ্রিয় করা৷ যেখানে মোটা খসখসে তাঁতকে নকশা আর রঙ্গের ঝলকানিতে এমন এক রূপ দেয়া হয়েছে যে তা ছিল নজর কাড়ার মতোই৷ নামি - দামি সব মডেল তাঁতের কাপড় পরে আলো ঝলমল ব়্যাম্পে জানিয়ে দিয়ে যান, ভারতে ঐতিহ্যবাহী তাঁত এখনো হারিয়ে যায়নি৷ পশ্চিমা কাপড়ের যুগে তাঁত যে তরুণ সমাজের মন খুব সহজেই দখল করতে পারে সে বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন নকশাকাররাও৷

ভারতের নামকরা নকশাকার সব্যসাচি মুখার্জী বার্তা সংস্থা এএফপি কে বলেন, হাত চালিত তাঁতের কাপড় আন্তর্জাতিক বাজারও দখল করতে পারে যা ভারতকে প্রতিনিধিত্ত্ব করবে৷

সরকার পরিচালিত খাদি এবং গ্রাম শিল্প কমিশনের চেয়ারম্যান, মুহাম্মদ সেলিম বলেন, খুব দ্রুত খাদিকে বাজারের কেন্দ্রে আনা সম্ভব নয়, তবে এই ধরণের উদ্দ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক৷ তিনি আরো বলেন, তাঁতের কাপড়ে নকশার বৈচিত্র্য আনা খুবই কঠিন৷ তাই আমরা এখনো পরীক্ষা চালাচ্ছি৷

পশ্চিমবঙ্গের ছোট তাঁত শিল্প মন্ত্রী মনোবেন্দ্র মুখার্জী বার্তা সংস্থাকে বলেন, ভারত সরকার পোশাকে ‘গান্ধীর আদর্শ' প্রতিষ্ঠা করতে তাঁত এবং সিল্ক শিল্পকারখানাগুলোকে পুনর্জীবিত করতে চায়৷

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার