1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডিম নয়, বিজ্ঞান বলছে, ‘সম্ভবত মুরগিই!’

১৫ জুলাই ২০১০

মুরগি নাকি ডিম? কোনটি আগে? না, এখন এটা আর শুধু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন নয়, এর উত্তর খুঁজে ফিরছেন বিজ্ঞানীরাও৷ আর এবার ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্ভবত মুরগিই আগে৷

https://p.dw.com/p/OJNZ
egg, science, chicken, মুরগি, ডিম, UK, বিজ্ঞান, ব্রিটেন
ছবি: AP

এই রহস্য উদ্ঘাটনে কাজে লাগানো হয়েছে বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক আবিষ্কার কম্পিউটার প্রযুক্তিকে৷ এই গবেষণায় বেশ সময় কাটান উত্তর ইংল্যান্ডের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং মধ্য ইংল্যান্ডের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা৷ এরপরই তাঁদের মন্তব্য, মূল রহস্য লুকিয়ে আছে ডিমের আবরণে৷ আর এই আবরণ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মুরগির এক বিশেষ আমিষ জাতীয় পদার্থ৷

বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যে, ডিমের খোসা তৈরি করে মূলত ভোকলিডিডিন-১৭ বা সহজ কথায় ওসি-১৭ নামের আমিষ৷ কিন্তু এরপরের প্রশ্ন, এই আমিষ থেকে ডিমের খোসা তৈরি হচ্ছে কিভাবে? বিজ্ঞানীরা নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এই প্রশ্নের উত্তরটিই খোঁজার চেষ্টা করছিলেন৷ কম্পিউটারের সাহায্যে পরীক্ষা চালিয়ে এবার দেখা গেল ডিমের খোসা তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া৷ দেখা গেছে, ডিমের খোসা তৈরিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে এই ওসি-১৭ আমিষ৷ আর ক্যালসিয়াম কার্বোনেট নামক দানার সাথে মিশে তৈরি করে ডিমের খোসা৷ এই প্রক্রিয়াটি খুব অল্প সময়ে বারবার ঘটতে থাকার মধ্য দিয়েই ঘটে ডিমের পূর্ণ আবরণ৷

এই গবেষণার অন্যতম সদস্য শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হার্ডিং বলেন, ‘‘মুরগির ডিমের খোসা তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়াটা খুবই রোমাঞ্চকর৷ এই উদ্ঘাটন আমাদের আরো নতুন উপাদান এবং প্রক্রিয়া উদ্ভাবনের পথ দেখাবে৷'' আসলে প্রকৃতিতেই খুঁজে পাওয়া যায় অনেক সমস্যার সমাধান৷ আমরা সেখান থেকে পেতে পারি অনেক৷ যাহোক, ডিমের খোসা তৈরি হওয়ার উপাদান ও প্রক্রিয়া থেকেই বিজ্ঞানীদের ধারণা, নিশ্চয়ই মুরগি আগে এসেছে৷ আর ডিম এসেছে মুরগি আসার পরেই৷

সুতরাং, এবার থেকে আর এই লোকঠকানো প্রশ্ন করা চলবে না৷ ‘ডিম আগে না মুরগি?'

ডিম নয়, বিজ্ঞান বলছে, ‘সম্ভবত মুরগিই!'

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়