1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৬ মার্চ ২০১৩

দক্ষিণ আফ্রিকায় পঞ্চম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে চীনের নতুন প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং-এর সঙ্গে এই প্রথম মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং৷ চীনে নেতৃত্বের পালা বদলের পর ভারত-চীন সম্পর্ক কোন খাতে বইতে পারে?

https://p.dw.com/p/183yE
Symbolbild BRIC Schwellenländer Automobilindustrie Automarkt DW-Grafik: Olof Pock, Datum: 11.01.2012

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং সোমবার রওনা হয়ে যান ডারবান অভিমুখে৷ সঙ্গে গেছেন অর্থমন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রী৷ সম্মেলন শুরু হচ্ছে ২৭শে মার্চ৷

ভারতের দিক থেকে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো চীনের নতুন প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম একান্ত বৈঠক৷ চীনের নতুন প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই ভারত সম্পর্কে চীনের অবস্থান কী হতে পারে তার পাঁচটি সূত্র দিয়ে রেখেছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে৷ যেমন স্ট্র্যাটিজিক যোগাযোগ বাড়ানো, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখা, ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমান সমান সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পারস্পরিক সমঝোতা শক্তিশালী করা এবং বৈশ্বিক স্তরে বিকাশশীল দেশগুলির স্বার্থ ও বৈধ অধিকার রক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা৷

Indian Prime Minister Manmohan Singh waits for the start of a round table meeting during an EU-India summit at the EU Council building in Brussels, Friday, Dec. 10, 2010. (AP Photo/Virginia Mayo)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংছবি: AP

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের চলমান পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে চীনের মাথা ব্যথার বড় কারণ ভারত নয়৷ নতুন নেতৃত্বের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ চীন সমুদ্র৷

চীনের বক্তব্যকে ভারত স্বাগত জানালেও ভারত-চীনের মূল বিরোধের জায়গাগুলির কথা খোলসা করা হয়নি৷ যেমন সীমান্ত বিরোধ, তিব্বত ইস্যু, পাকিস্তানকে পরমাণু সাহায্য ইত্যাদি৷ এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান কী – তা আবার তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী৷ সীমান্ত প্রশ্নে ভারত ভূমিগত বাস্তবতার প্রেক্ষিতে, দেয়া-নেয়ার ভিত্তিতে সমাধানে আগ্রহী৷ আন্তর্জাতিক স্তরে দু'দেশের সহযোগিতা৷

উল্লেখ্য, তিন চার বছর আগের তুলনায় বর্তমানে সীমান্ত ইস্যু মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে৷ মাঝে মাঝে চীনা ফৌজের বিতর্কিত সীমান্তরেখা লঙ্ঘন ও আগ্রাসী টহলদারি বন্ধ আছে৷ ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরিদের স্টেপল ভিসা ইস্যু নিয়ে ভারতের প্রতিবাদে সাড়া দিয়েছে চীন৷ চুপচাপ তা তুলে নেয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে, তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার তাওয়াং সফর নিয়ে চীনের যে উষ্মা – তা এখন স্তিমিত৷ গত বছর চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও-এর ভারত সফরে তিব্বতি বিক্ষোভকারীদের দমনে চীন কিছুটা স্বস্তিতে৷

সব মিলিয়ে বলা যায়, দু'দেশের সম্পর্কে মোটামোটি একটা স্থিতিশীলতা এসেছে৷ পাশাপাশি জোর কদমে বেড়ে চলেছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য৷ বর্তমানে যার পরিমাণ প্রায় ৫০ বিলিয়ান মার্কিন ডলার৷ চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছে বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও টেলিকম ক্ষেত্রে ভারত সবথেকে পছন্দের গন্তব্য৷

দু'দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন না৷ যেমন উঠবে না ব্রম্মপুত্র নদের উজানে চীনের বিতর্কিত আন্তঃসীমান্ত নদী বাঁধ প্রকল্প ইস্যু৷ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চীনের সড়ক ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণ৷ তবে আগামী মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনি যাচ্ছেন বেজিং-এ৷ তখন বিস্তারিতভাবে প্রতিটি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে৷ শুরু হবে চীন-ভারত সম্পর্কের নতুন অধ্যায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য