1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রামীণ ব্যাংক

১ জুন ২০১২

গ্রামীণ ব্যাংক এবং তার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কে কোনো না কোনো ভাবে সম্পৃক্ত রাখাটা যৌক্তিক ও উপকারী বলে মনে করেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান৷

https://p.dw.com/p/155vi
ছবি: AP

তবে, গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার যে ঘাটতি ছিল সেটিও দূর করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাঈমুল ইসলাম খান৷

ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারের শতভাগ অর্থে এবং সরকারের বিশেষ আইনে৷ সুতরাং এই প্রতিষ্ঠানের ভাল-মন্দ দেখা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার অধিকার সরকারের রয়েছে৷''

তবে, সরকার যদি গ্রামীণ ব্যাংক'কে অন্যান্য সরকারী ব্যাংকের মতোই কোনো রূপ দিতে চান, সেটি করা উচিত হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

গ্রামীণ ব্যাংক এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্য যত প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোর কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার জন্য এ মাসেই একটি কমিশন গঠন করেছে সরকার৷ আগামী তিন মাসের মধ্যেই তদন্তের প্রতিবেদন দেবে এ কমিশন৷

কমিশন গঠনের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে গত বুধবারে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷

তবে, তদন্ত কমিশন নিয়ে ড. ইউনূসের খুব বেশি আপত্তি থাকার কথা নয় বলেই মনে করেন সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান৷ তিনি মনে করেন, সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতার দিকটি খতিয়ে দেখার অধিকার সরকারের রয়েছে৷ তবে, ড. ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকার যে অবস্থান নিয়েছে সেখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় আছে কি-না এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেন নি তিনি৷

এর আগে ২০১০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. ইউনূসকে অপসারণ করে সরকার৷ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেয়া নিয়ে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনাও হয়েছে দেশে-বিদেশে৷ এমনকি গত কিছু দিন আগে বাংলাদেশ সফরকালে মার্কিন পররাষ্ট্র হিলারি ক্লিনটনও নিজের উদ্বেগ জানিয়েছেন ইউনূসকে ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে৷

সাক্ষাৎকার: আফরোজা সোমা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য