1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেনিস খেলাটা কি অনেকটা ইনজুরির লটারি হয়ে দাঁড়াচ্ছে?

২২ আগস্ট ২০১১

সিনসিন্যাটি’তে ফাইনালে একদিকে মারে-জোকোভিচ, অন্যদিকে শারাপোভা-ইয়ানকোভিচ’এর খেলা৷ কিন্তু তাদের সে অবধি উঠতে সবটাই জুড়ে ছিল নানান ইনজুরির কাহিনী৷ ওদিকে সামনে ইউ এস ওপেন৷

https://p.dw.com/p/12Kpv
ফেদেরার, নাদাল দুজনের যুগ কি শেষ?ছবি: AP

এ্যান্ডি মারে'র হ্যামস্ট্রিং, অর্থাৎ হাঁটুর পিছন দিকের পেশীতে ব্যথা৷ ওদিকে জোকোভিচ যে বিনা বাধায় ফাইনালে পৌঁছিয়েছেন তার কারণ, সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ টমাস বেরডিচ কাঁধের চোট নিয়ে খেলা ছাড়তে বাধ্য হন৷ অথচ এই বেরডিচ কাঁধের চোট নিয়েই কোয়ার্টার-ফাইনালে রজার ফেডারার'কে হারিয়েছিলেন৷ সিনসিন্যাটিতে আরেকটি বড় অঘটন ছিল রাফায়েল নাদাল'কে অকালে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে৷ নাদাল একটি রেস্তরাঁয় হাতের আঙুল পোড়ানোর পর পুরু ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলছিলেন৷

মহিলাদের ক্ষেত্রে মারিয়া শারাপোভা দ্বিতীয় বাছাই ভেরা জোওনারেভা'কে তিন সেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন৷ ইয়েলেনা ইয়ানকোভিচ জার্মানির আন্দ্রেয়া পেটকোভিচ'কে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেন বটে, কিন্তু পেটকোভিচ'এর ডান হাঁটুর মেনিসকাস সামান্য ছেঁড়া ছিল - যদিও স্ক্যান করার পর তাঁকে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়৷ এছাড়া পেটকোভিচ এ'মরশুমে ইয়ানকোভিচ'কে দু'বার হারিয়েছেন৷ এখন পেটকোভিচ বলছেন, তিনি তাঁর হাঁটুকে রেস্ট দেবেন এবং ইউ এস ওপেন শুরু হবার আগে আবার ডাক্তার দেখাবেন৷

Tennis Wimbledon Djokovic Nadal
টেনিসের নতুন রাজা জোকোভিচছবি: dapd

জোকোভিচ'এর বিরুদ্ধে খেলার সময় টমাস বেরডিচ'কে ৫২ মিনিট পরেই হাল ছাড়তে হয়, কাঁধের ব্যথার দরুণ৷ জোকোভিচ পরে বলেন: ‘‘আমাদের দু'জনের একই চোট - ওর'টা আরো গুরুতর৷ খেলাটা এভাবে শেষ হওয়াটা খুবই দুঃখজনক৷ টপ প্লেয়ারদের সকলকেই এ্যাতো বেশি খেলতে হয়, আর এই সিডিউল'এরও একটা প্রেসার আছে৷ তবে সেটা স্বাভাবিক৷ সব সময় ১০০ পার্সেন্ট ফিট থাকা সম্ভব নয়৷''

এ্যান্ডি মারে মার্ডি ফিশ'কে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন৷ ফিশ'এর আবার পায়ের গোড়ালিতে চোট৷ তিনি তাঁর গোড়ালিকে ইউ এস ওপেন অবধি রেস্ট দিতে চান: ‘‘আমি খেলা না বন্ধ করলে এ যাবে না৷ দু'সপ্তাহে নটা ম্যাচ খেলা তো কম কথা নয়৷'' সেটা থেকে এবার দিন চারেকের ছুটি নেবেন ফিশ, দিনের পর দিন কোর্টে ফিরে টেনিস খেলার তাগাদা থেকে, যে তাগাদা থেকে আবার এই সব ইনজুরির সূচনা৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক