1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টুপির ফ্যাশন

১৫ জুলাই ২০১২

টুপি বলতেই নেহেরু ক্যাপ, ঢাকার মখমল বা জরির টুপির কথা মনে পড়ে৷ চোখের সামনে ভেসে ওঠে ব্রিটিশ রাজ-পরিবারের রানি বা ডাচেস’দের ছবি৷ কিন্তু জার্মানিতেও যে টুপি একটা ‘ফ্যাশন-সিম্বল’ সে কথা কে ভেবেছিল?

https://p.dw.com/p/15XyJ
ছবি: Fotolia/Paul Stock

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এ বছর ৮৬'তে পা দিলেন৷ অথচ পোশাকের ব্যাপারে তিনি এখনও অত্যন্ত সচেতন৷ সব সময়ই তাঁর পরনে পোশাকের সঙ্গে মানানসই টুপি৷ নানা রঙের, নানা আকৃতির৷ কিন্তু এ'তো গেল রাজা-রাজড়াদের ব্যাপার-স্যাপার৷

বাহারি রঙের এবং ডিজাইনের টুপির এখন সর্বত্র বিচরণ৷ হালফ্যাশনের ছেলে-মেয়েদের জন্য এটির আজ জুড়ি মেলা ভার৷ আর শুধু ইংল্যান্ডে নয়, জার্মানিতেও টুপির কদর বাড়ছে ক্রমশ৷ লিন্ডেনবুর্গ'এর বিখ্যাত টুপি মিউজিয়ামের কর্মকর্তা মানফ্রেড রোল'এর কথায়, ‘‘আজকের ফ্যাশন-দুরস্ত তরুণীদের মধ্যে ব্রিটেনের রাজকীয়তার যেন একটা ছাপ পড়েছে৷ বিশেষ করে প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটন'এর বিয়ের পর থেকে৷''

অবশ্য শুধু মেয়েরা নয়, পুরুষদের মধ্যেও টুপির প্রতি আকর্ষণ কিছু কম না৷ বর্তমানে ‘কাস্টম মেড' বা অর্ডার দিয়ে হাতে বানানো টুপির চাহিদা জার্মানিতে বেড়েই চলেছে৷ এই যেমন, একটি ‘পানামা হ্যাট'-এর দাম এ মুহূর্তে প্রায় ৬২০ ডলার৷ কিন্তু আজ-কাল সেগুলোও বিক্রি হচ্ছে নিমেষের মধ্যে৷

মিউজিয়ামে যোগ দেয়ার আগে প্রায় ৩৩ বছর মহিলাদের একটি টুপির দোকানে কাজ করেছেন মানফ্রেড রোল৷ সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি বললেন, ‘‘সব ধরনের টুপি সবাইকে মানায় না৷ টুপির আকৃতি এবং রঙ বাছাই করতে হয় নিজের ত্বকের রঙ এবং মুখাকৃতি অনুযায়ী৷ সবাই সেটা জানে না৷ এরপরও অনেকেই হয়ত বলবে যে, জার্মানিতে এখন টুপির পুনর্জাগরণ ঘটেছে৷ কিন্তু আমার মনে হয়, কথাটা ঠিক নয়৷ আপনি ১৯২০ অথবা ১৯৩০ সালের কথা চিন্তা করুন৷ সে সময় কোনো সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকে টুপি ছাড়া রাস্তায় দেখা যেত কি? অথবা মধ্যযুগীয় কোনো যাজক? তাঁদের মাথার সেই চৌকোনো টুপির কথা কি মনে পড়ে না? আসলে টুপি এমন একটি ফ্যাশন-উপকরণ যা মানুষ সারা বছর ব্যবহার করতে পারে৷ পুরোনো ছবি, যেমন অলিভার হার্ডি'র যে কোনো ছবির কথা ধরুন৷ সেখানেও দেখবেন টুপি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে৷''

বলা বাহুল্য, আজ-কাল নানা ধরনের টুপি বাজারে আসছে যা মানুষকে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করে, আরাম দেয়, দেয় স্থায়িত্ব এবং সর্বোপরি ফ্যাশনে যোগ করে এক নতুন আঙ্গিক৷ আর তাই, ‘অ্যাসকট', ‘জেমস লক' বা ‘ফ্যাসিনাটর'-এর মতো কোম্পানিগুলোর মুনাফা আজ আকাশচুম্বী৷ তবে জার্মানিতে টুপির ফ্যাশন আবারো সত্যিকার অর্থে ফিরিয়ে আনতে টুপি পড়া শুরু করতে হবে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল'কে৷ মানফ্রেড রোল'এর মতে, ‘‘ম্যার্কেল'কে বড় নয়, ছোট গোল টুপি মানাবে ভালো৷ অর্থাৎ রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় বড় কাজ করলেও, টুপির বেলায় তাঁর ছোট টুপিই বেছে নেয়া উচিত৷''

ডিজি / এসবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য