1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টুইটারে ওসামার হত্যা নিয়ে চরম ব্যস্ততা

২ মে ২০১১

টুইটারে অ্যাবটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে অভিযানের বর্ণনা দিয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেলেন শহরবাসী শোয়েব আটার৷

https://p.dw.com/p/117sQ
ছবি: picture alliance/dpa

টুইটার, ফেসবুক ও ব্লগ'এর যুগে সংবাদ পরিবেশন এখন আর শুধু সংবাদ মাধ্যমের একচেটিয়া অধিকার নেই৷ ‘সিটিজেন জার্নালিজম'এর কল্যাণে যে কোনো ঘটনাস্থল থেকে সাধারণ মানুষ সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে পারে বার্তা, ছবি অথবা ভিডিও৷ ওসামা বিন লাদেন'এর হত্যার খবর অবশ্য খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাই গোটা বিশ্বকে জানান৷ সিএনএন'এর মতো কিছু সংস্থা আগেভাগে কিছুটা আভাস পেলেও সিংহের মুখ থেকে খবরের জন্য তাদেরও অপেক্ষা করতে হয়েছে৷

সংবাদ পরিবেশনার প্রচলিত পথে এত বাধা এলেও থেমে থাকে নি ‘সোশাল নেটওয়ার্কিং' জগত৷ টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব'এর মত পরিষেবায় সংবাদের বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে৷ ওবামার ঘোষণার পর টুইটারে সেকেন্ডে প্রায় ৪,০০০ বার্তা পাঠানো হতে থাকে৷

তবে ওসামার বিরুদ্ধে অভিযানের আঁচ পেয়েছিলেন অ্যাবটাবাদের ৩৪ বছর বয়স্ক তরুণ তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ শোয়েব আটার৷ গভীর রাতে তিনি কম্পিউটারে কাজ করছিলেন৷ প্রথমে হেলিকপ্টারের আওয়াজে বিরক্ত হয়ে তিনি টুইটারে বার্তা পাঠান৷ তারপর বিস্ফোরণের শব্দ এবং সবশেষে ওসামার হত্যার খবর শুনে বিস্মিত শোয়েব লেখেন, ‘‘যাচ্চলে, আমিই সেই লোক, যে না জেনেই ওসামার হত্যার খবর ব্লগের মাধ্যমে বিশ্বকে জানালাম!'' মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঐতিহাসিক ঘোষণার প্রায় ৭ ঘণ্টা আগে শোয়েব প্রথম টুইট করেছিলেন৷

আচমকা এই খ্যাতির জন্য শোয়েব মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না৷ ফলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে টুইটার, ই-মেল ও স্কাইপ'এর মাধ্যমে যে হাজার-হাজার বার্তা আসছে, তা পড়ে দেখা বা উত্তর দেবার ক্ষমতা শোয়েবের নেই৷ টুইটারে তার ‘অনুগামী'র সংখ্যা ৩০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে৷ শুধু শোয়েব নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিথ আর্বান নামের এক ব্যক্তি ওবামার ঘোষণার প্রায় ২ ঘণ্টা আগে টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘অত্যন্ত সম্মানিত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, যে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে৷' টুইটারে নিজের প্রোফাইলে কিথ নিজেকে প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড'এর প্রাক্তন ‘চিফ অফ স্টাফ' বলে দাবি করেছেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক