1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জয়পুর সাহিত্য উৎসবে রুশদি বিতর্ক থামেনি

২৩ জানুয়ারি ২০১২

জয়পুর সাহিত্য উৎসবে বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদিকে যোগ দিতে না দেবার জন্য লেখক স্বয়ং রাজস্থান পুলিশকে এক হাত নিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, মিথ্যা ভয় দেখিয়ে তাকে আটকানো হয়েছে৷ যোগদানকারী লেখকরাও রুশদি প্রসঙ্গে দ্বিধাবিভক্ত৷

https://p.dw.com/p/13oQy
সলমান রুশদিছবি: AP

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে জয়পুর সাহিত্য উৎসবে বুকার পুরস্কার বিজেতা মিডনাইট চিলড্রেন-এর লেখক সালমান রুশদিকে যোগ দিতে না দেবার জন্য লেখক বেজায় চটেছেন রাজস্থান পুলিশের ওপর৷ নিরাপত্তার কারণ সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে লেখক ট্যুইটারে লেখেন, এর উদ্দেশ্য ছিল তাঁর আসা আটকানো৷ মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ থেকে তাঁকে জানানো হয়েছিল ভাড়াটে খুনিদের হাতে তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা আছে৷ রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়৷

আন্তর্জাতিকখ্যাত সমাজবিজ্ঞানি ড. আশীষ নন্দী কিন্ত এটাকে দেখছেন নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বললেন, উত্তরপ্রদেশের ভোটের দিকে তাকিয়ে নিরাপত্তার কথা বলে তাঁকে আটকানো হয়েছে৷ সরকার চাইছিল ওনাকে নিয়ে বিতর্ক হোক, তাতে আটকাতে সুবিধা হবে৷ খোদ ইরানে যখন ফতোয়া ধামাচাপা পড়ে গেছে তখন এতো বছর পর ভারতে তা নিয়ে চেঁচামেচি করা হাস্যকর৷ ভারতীয় গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হলো শ্যামও রাখি, কুলও রাখি৷ সবই নির্বাচন-ভিত্তিক, মনে করেন আশীষ নন্দী৷

এর প্রেক্ষিতে রুশদি আগামীকাল উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে তার বক্তব্য রাখবেন৷ তাতেও বাদ সেধেছেন প্রশাসন৷ বলেছে, এরজন্য অনুমতি নিতে হবে যা উদ্যোক্তারা এখনো নেননি৷ উদ্যোক্তাদের জানাতে হবে রুশদি স্যাটানিক ভার্সেস-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আপত্তিকর কিছু বলবেন না৷

উৎসবে লেখকরাও রুশদি বিতর্কে দ্বিধাবিভক্ত৷ চারজন লেখক স্যাটানিক ভার্সেস থেকে অংশবিশেষ পাঠ করলে পত্রপাঠ তাঁদের শুধু আসর থেকে নয়, দেশ ছেড়ে চলে যতে বলা হয়৷ বলা বাহুল্য, তাঁরা চলে যান গ্রেপ্তারি এড়াতে৷ রুশদির সমর্থনে রয়েছেন লেখক উইলিয়াম ড্যালরিম্পল, মর্কিন টিভি স্টার ওপরা উইনফ্রে প্রমুখ৷ চেতন ভগতের মত লেখকরা মনে করেন, রুশদি বিশ্ববিখ্যাত লেখক হতে পারেন কিন্তু মানুষের ঈশ্বর বিশ্বাসকে তিনি আঘাত করতে পারেন না৷ ড. আশীষ নন্দী বলেন, রুশদির বই থেকে পাঠ করা লেখকদের একটা স্বত:স্ফূর্ত প্রতিবাদ৷ এতে অন্যায় কিছু নেই৷

উল্লেখ্য, ১৯৮৮তে ভারতে স্যাটানিক ভার্সেস নিষিদ্ধ হয়৷ আজ পর্যন্ত এই বই নিয়ে কোথাও সহিংসতার প্রকাশ ঘটেনি৷ বর্তমানে বিশ্বে মাত্র ৫টি দেশে এই বই এখনো নিষিদ্ধ৷ ভারতে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার জন্য অভিযান শুরু হয়েছে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য