1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি-আফগানিস্তান

১৪ মার্চ ২০১২

কঠিন এক সময়ে জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আফগানিস্তানে গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছেন৷ এক মার্কিন সেনার গুলিতে ১৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর সেদেশে ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে পড়েছে বলা চলে৷

https://p.dw.com/p/14KK1
ছবি: picture alliance/dpa/Bundeswehr

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য

সোমবার চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলএর পর বুধবারই জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই সফর সবার নজর কাড়ছে৷ দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই নিয়ে মোট ৬ বার আফগানিস্তান সফর করছেন দেমেজিয়ের৷ তিনি বুধবার কাবুলে প্রেসিডেন্ট হামিদ কার্জাই ও আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্দুল রহিম ওয়ারদাকএর সঙ্গে আলোচনা করেন৷ তিনি বলেন, জার্মানি ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে শীঘ্রই একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে৷ তবে আফগান সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ বা সামরিক সাহায্যের ক্ষেত্রে জার্মানি কোনো নিজস্ব উদ্যোগ নেবে না৷ ন্যাটোর কাঠামোর মধ্যেই সেই কাজ করা হবে৷ আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্দুল রহিম ওয়ারদাকএর সঙ্গে আলোচনার পর জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ের কাবুলে একথা জানান৷ কান্দাহারে মার্কিন সেনার গুলি চালনার ঘটনার আলোকে দেমেজিয়ের হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন৷

Panetta und Karzai in Kabul
কঠিন সময়ে আফগানিস্তানে প্যানেটা (ফাইল চিত্র)ছবি: dapd

আফগানিস্তানের মনোভাব

আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ারদাক দেমেজিয়েরকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, আফগান সৈন্য বা পুলিশ যাতে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনী আইসাফএর সদস্যদের উপর হামলা না চালায়, তা নিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, অতীতে জার্মানি সহ একাধিক দেশের নাগরিকদের উপর এমন হামলা ঘটেছে৷ ওয়ারদাকএর এই আশ্বাসের ফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেমেজিয়ের৷ কান্দাহারের ঘটনার ফলে মার্কিন-আফগান সম্পর্কের অবনতির সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি৷ আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার জন্য দায়ী সৈন্যকে উপযুক্ত শাস্তি দেবে, এটাই তাঁর বিশ্বাস৷

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফর

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়ন প্যানেটা দেশের দক্ষিণে মার্কিন সৈন্যদের সঙ্গে কথা বলেন৷ একই দিনে ঐ অঞ্চলে দুটি হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ হেলমন্দ প্রদেশে ৮ জন ও কান্দাহারে ১ জন নিহত হয়েছে৷ প্যানেটা কোরান পোড়ানো ও মার্কিন সৈন্যর গুলি চালানোর ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন৷ হেলমন্দ প্রদেশে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এমন ঘটনার ফলে কঠিন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে৷ তবে এম সব ঘটনা সত্ত্বেও মার্কিন নীতির কোনো পরিবর্তন ঘটবে না৷ তিনি কাবুলে প্রেসিডেন্ট কার্জাই ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ারদাকএর সঙ্গে আলোচনা করবেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য