1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাসীর বিচার

২০ মার্চ ২০১২

আহমদ ওয়ালি সিদ্দিকি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং তিনি আল-কায়েদা ও অপর একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য৷ সোমবার জার্মানির কোবলেঞ্জ শহরে তার বিচার শুরু হয়৷

https://p.dw.com/p/14O73
ছবি: picture-alliance/dpa

৩৭-বছর-বয়সী সিদ্দিকি'কে আদালতে বেশ শান্তই দেখা যায়৷ একটি সুদীর্ঘ বিবৃতিতে তিনি আদালতকে বলেন: ‘‘আমরা মার্কিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চেয়েছিলাম৷'' তার পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল নাকি আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা৷ এছাড়া সিদ্দিকি আদলতকে তার জন্ম এবং শিক্ষা-দীক্ষার কথা বলেন, কিভাবে তিনি কিশোর বয়সে জার্মানিতে আসেন, ইত্যাদি৷

২০১০ সালে আফগানিস্তানেই মার্কিন সৈন্যদের হাতে ধরা পড়েন সিদ্দিকি এবং গ্রেপ্তারকৃত অবস্থাতেই ইউরোপের বিভিন্ন শহরের উপর আল-কায়েদার আক্রমণের পরিকল্পনার কথা জানান৷ অবশ্য সে ধরণের কোনো আক্রমণ পরে সংঘটিত হয়নি৷

সিদ্দিকির বিরুদ্ধে আল-কায়েদা এবং উজবেকিস্তানের ইসলামি আন্দোলনের সদস্যতার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ অপরাধ প্রমাণিত হলে তার দশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে৷ সরকারপক্ষ বলছে, সিদ্দিকি এবং আরো জনা দশেক উগ্রপন্থি মুসলিম জার্মানির হামবুর্গ থেকে পাকিস্তানে যায় সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ নেবার উদ্দেশ্যে৷ তাদের মধ্যে একাধিক পরে গ্রেপ্তার অথবা নিহত হয়েছে৷ ঐ দলের এক জার্মান-সিরীয়, রামি মাকানেসি'কে গতবছর ফ্রাঙ্কফুর্টের একটি আদালত আল-কায়েদার সদস্যতার অভিযোগে প্রায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে৷

Terrorprozess in Koblenz
আদালতে আহমদ ওয়ালি সিদ্দিকিছবি: picture alliance / dpa

পাকিস্তানে যাবার আগে সিদ্দিকি এবং তার অপরাপর সতীর্থরা হামবুর্গের আল-কুদ্স মসজিদে মিলিত হতো৷ নাইন-ইলেভেনের কয়েকজন আততায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিমানচালনা শিক্ষার জন্য যাবার আগে ঠিক এই মসজিদটিতেই মিলিত হতো৷ কর্তৃপক্ষ পরে মসজিদটি বন্ধ করে দেন৷ নাইন-ইলেভেন আক্রমণের এক অপরাধী, মুনির এল মোতাসাদেক, যার পরে একটি জার্মান আদালতে বিচার হয়, সিদ্দিকির বন্ধু ছিল৷ সিদ্দিকি এই বন্ধুত্বের কথা অস্বীকার করলেও, মোতাসাদেকের পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছেন৷ এবং বলেছেন যে, তিনি নাইন-ইলেভেনের মূল যড়যন্ত্রকারী রামসি বিনালসিব এবং আত্মঘাতী বিমান-অপহরণকারী মোহামেদ আটা'কে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন না৷

সরকারি কৌঁসুলির সওয়াল অনুযায়ী, ২০১০ সালে ‘‘আল-কায়েদার এক উচ্চপদস্থ সদস্য'' সিদ্দিকি'কে জার্মানি ফিরে ইউরোপে আল-কায়েদা চক্রের অঙ্গ হতে বলেন৷ অতঃপর সিদ্দিকি পাকিস্তান থেকে গোপনে আফগানিস্তানে অনুপ্রবেশ করেন, কিন্তু জার্মানিতে ফিরতে পারার আগেই কাবুলে মার্কিন সৈন্যদের হাতে ধরা পড়েন৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য