1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছাত্রকে ‘প্রেমের কামড়'

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

ছাত্রের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করায় ৪২ বছর বয়সি এক স্কুল শিক্ষিকাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে সিংগাপুরের একটি আদালত৷ ১৩ বছর বয়সি ছাত্রটি দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষিকার স্কুলেরই শিক্ষার্থী৷

https://p.dw.com/p/1BCKE
Symbolbild Kind Therapie
প্রতীকী ছবিছবি: imago/IPON

আলোচিত নারী ১১ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন৷ চার সন্তানের মাও তিনি৷ তাঁর বিরুদ্ধে শিশু এবং অল্প বয়সিদের উপর যৌন নিপীড়নের দু-দুটি অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে৷ সিংগাপুরের ‘চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়াং পারসন্স অ্যাক্ট'-এর আওতায় শিক্ষিকার বিচার করা হয়েছে৷

আদালত থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত নারী কিশোরের ঠোঁটে চুমু দিয়েছেন এবং তার কাঁধে ও ঘাড়ে ‘লাভ বাইট' বা প্রেমের দংশন এঁকে দিয়েছেন৷ ২০১২ সালে এই কাজ করেন তিনি৷ তবে অভিযুক্ত হলেও শিক্ষিকার নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি আদালত৷

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ১৩ বছর বয়সি ঐ ছাত্রটি শিক্ষিকার ছেলের সঙ্গে একসঙ্গে ফুটবল খেলতো৷ জানা যায়, প্রথমে ছেলেটির সঙ্গে ফেসবুক চ্যাটের মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে তোলেন জনৈকা শিক্ষিকা৷ এরপর পাবলিক পার্কে গিয়ে তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন তিনি৷ আদরের অছিলায় কিশোরের শরীরে তিনি যৌন কামনার চিহ্ন রাখেন৷ চুম্বনের সঙ্গে দাঁতের কামড় বসান ঘাড়ে৷

ছেলে বাড়ি ফিরে এলে, ঘাড়ে ‘লাভ বাইট' দেখে তার মা পুলিশের শরণাপন্ন হন৷ বিচারক নং পেং হং তাঁর রায়ে লিখেছেন, ‘‘১৩ বছর বয়সি এক ছেলের উপর এমন একজন মানুষ যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন, যিনি শিক্ষিকা৷ আমার মতে, পাবলিক পার্কে বসে ছাত্রের গায়ে ‘লাভ বাইটস' এবং তার ঠোঁটে চুমু দেয়ার সময় জিব ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষিকা অশ্লীল, যৌন এবং অগ্রহণযোগ্য আচরণ করেছেন৷''

আদালতে শিক্ষিকার পক্ষের আইনজীবী জানান, শিক্ষিকা মানসিক বিষন্নতায় ভুগছিলেন৷ বিচারক অবশ্য এই যুক্তি তেমন একটা আমলে নেননি৷

এআই/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য