1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশে চীন

Debarati Guha২ জুলাই ২০১২

চীনের মহাকাশ গবেষণায় গত কয়েক বছর ধরে যে অগ্রযাত্রা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেটা যেন নাসার বর্তমান দুরবস্থার বিপরীতে একটি ভারসাম্য তৈরি করেছে৷ আর্থিক কারণে নাসা তার শাটল কর্মসূচি বেসরকারিকরণের দিকে নিয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/15P8v
ছবি: Reuters

চীনের সর্বশেষ সাফল্য দেখা গেলো মহাশূণ্যে ম্যানুয়েল ডকিং করার মাধ্যমে৷ প্রায় দুই সপ্তাহের অভিযান শেষে গত শুক্রবার চীনের তিন নভোচারী নিরাপদেই পৃথিবীর বুকে ফিরে আসেন, যাদের মধ্যে ছিলেন এক নারীও৷ আর এই সময়টাতেই তারা এই ম্যানুয়েল ডকিং সম্পন্ন করার সাফল্য অর্জন করেন৷ এর মাধ্যমে চীন তার মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং তৈরির কাজে আরও এগিয়ে গেলো৷ বিগত বছরগুলোতে চীনের একের পর সাফল্য ও দেশটির মহাকাশ গবেষণা নিয়ে কথা বলেছি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদীর সঙ্গে৷ বাংলাদেশ জোতির্বিজ্ঞান সমাজের সঙ্গেও জড়িত তিনি৷ মহাকাশ গবেষণা নিয়ে তার আগ্রহ রয়েছে, তাই শিক্ষকতার পাশাপাশি এই নিয়েও লেখালেখি করে থাকেন৷ তিনি জানান, বিগত ৫০-৬০ এর দশক থেকেই আসলে চীন তার মহাকাশ গবেষণা শুরু করে৷ বলেন, ‘‘যখন রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশ গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছিলো তখন থেকেই চীনও এই কাজ শুরু করে৷ তবে শুরুতে এর উদ্দেশ্য ছিলো প্রতিরক্ষার জন্য, আনবিক বোমা তৈরির উদ্দেশ্যে৷ এরপর রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র যখন মানুষ পাঠালো তখন থেকেই তারাও এই জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দেয়৷

Liu Yang Shenzhou-9
শেনজু-৯ মহাকাশযান চীনের মর্যাদা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেছবি: Reuters

চীনের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে রাশিয়ার অবদান৷ এই গবেষণায় দুই দেশ অনেক বছর ধরেই একসঙ্গে কাজ করে আসছে৷ এই ক্ষেত্রে সয়ুজ নভোযানের কথা উল্লেখ করেন ড. মোহাম্মদী, ‘‘চীনের মূল সাফল্যটি কিন্তু আসা শুরু হয় ১৯৯৪ সালের পর যখন রাশিয়ার সঙ্গে তাদের চুক্তি হয় সয়ুজ নভোযান নিয়ে৷ এই নভোযানের নানা কারিগরি দিকগুলো নিয়ে চীন রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে৷ চীনা শেনঝু দেখতেও কিন্তু সয়ুজের মতোই, তবে এটি আকারে বড়৷ রাশিয়ার কারণেই চীনা গবেষণা অনেক দ্রুত এগিয়ে যায়৷''

Dr Farseem Mannan Mohammedy
ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদীছবি: Shahadat Parvez

মহাকাশ স্টেশন তৈরি করেই ক্ষান্ত হবে না চীনারা৷ মহাকাশ গবেষণায় তাদের লক্ষ্যে আরও বহুদূর৷ এই বিষয়ে বুয়েটের শিক্ষক মোহাম্মদী জানালেন, ‘‘চৈনিক মহাকাশ গবেষণার লক্ষ্য কিন্তু অনেক উচ্চাকাঙ্খী৷ তারা মহাশূণ্যে বসতি স্থাপন করতে চায়, এজন্য ২০২০ সালের মধ্যে তারা স্টেশন তৈরি করতে চায়৷ মঙ্গল গ্রহের দিকেও তাদের নজর রয়েছে৷ চীনা মহাকাশ সংস্থাও জানিয়েছে যে মঙ্গল গ্রহে নভোযান পাঠানোর সকল ক্ষমতা আমাদের রয়েছে৷''

রুশ সহায়তা পেলেও চীন এখন পর্যন্ত তার নিজস্ব প্রযুক্তির ওপরই নির্ভর করছে৷ চীনা প্রযুক্তির এই উত্থানের পেছনে রয়েছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উন্নত মানের মহাকাশ বিষয়ক শিক্ষা, এমনটি জানালেন সহাকারী অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য