1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিকিত্‌সা শাস্ত্রে এবারের নোবেল বিজয়ীরা

আবদুস সাত্তার১৩ অক্টোবর ২০০৮

চিকিত্‌সা শাস্ত্রে দুই হাজার আট সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন তিন ইউরোপীয় বিজ্ঞানী যৌথভাবে- একজন জার্মান এবং অন্য দুজন ফরাসী৷ গত ৬ই অক্টোবর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম এ নোবেল কমিটি ঘোষণা দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/FYRN
জার্মান বিজ্ঞানী হারাল্ড সুয়র হাউজেনছবি: picture-alliance/ dpa

জার্মান বিজ্ঞানী হারাল্ড সুয়র হাউজেন চিকিত্‌সা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বা গর্ভাশয়ে ক্যান্সারের জীবাণু হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস-এইচপিভি আবিষ্কারের জন্য৷

Deutschland Schweden Nobelpreis an Harald zur Hausen
চিকিত্‌সা শাস্ত্রে দুই হাজার আট সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন তিন ইউরোপীয় বিজ্ঞানী যৌথভাবে- একজন জার্মান এবং অন্য দুজন ফরাসীছবি: AP

কারোলিন্সকা ইন্সটিটিউট বলেছে, জার্মান বিজ্ঞানীর আবিষ্কারের ফলে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার নিরাময়ের চিকিত্‌সায় বেশ অগ্রগতি ঘটেছে৷ সুয়র হাউজেন এর জন্ম ১৯৩৬ সালে৷ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেই ক্যান্সারের উত্‌পত্তি-এ নিয়ে তিনি গবেষণা চালান৷ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন৷ সুয়র হাউজেন দুই হাজার তিন সাল পর্যন্ত দীর্ঘ কুড়ি বছর হাইডেলব্যার্গে জার্মান ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ছিলেন৷

বায়াত্তর বছরী প্রফেসার হারাল্ড সুয়র হাউজেন বলেন, স্টকহম থেকে আমার কাছে যখন টেলিফোন আসে নোবেল প্রাপ্তির খবরটি জানানোর জন্য তখন আমি বিস্ময়াভিভূত হয়ে পড়ি৷ এর জন্য আমি একেবারেই প্রস্তত ছিলাম না৷ তাঁর গবেষণার জন্য তিনি স্বীকৃতি পেলেন৷ কিন্তু এক সময় তাঁকে অসুবিধাতেও পড়তে হয়েছিল৷ তিনি বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত আমার গবেষণা কাজকে দেখা হয়েছিল সন্দের চোখে৷ স্বাভাবিকভাবেই এই সময়টি আমার জন্য সহজ ছিল না৷ সহজ ছিল না আমার বৈজ্ঞানিক গবেষণা কাজ প্রকাশ্ করাও৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সৌভাগ্যবশত আমার গবেষণা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে৷

Medizin-Nobelpreis an Aidsforscher
জার্মান বিজ্ঞানীর আবিষ্কারের ফলে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার নিরাময়ের চিকিত্‌সায় বেশ অগ্রগতি ঘটেছেছবি: picture-alliance/ dpa

চিকিত্‌সা শাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী সুয়র হাউজেন এর মত চিকিত্‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌সা ক্ষেত্রে অন্য দুই নোলেল বিজয়ী হলেন ভাইরাস তত্ত্ববিদ ফ্রান্সের লুক মঁতানিয়ের এবং ফ্রঁসোয়াজ বার-সানুজি ৷ তাঁরা ১৯৮১ সালে নতুন ধরনের এর রোগের ওপর এক মেডিক্যাল রিপোর্টের সুত্র ধরে মারণব্যাধি এইডস এর জীবাণু হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী ভাইরাস বা এইচআইভি আবিষ্কার করেন৷ নোবেল পুরস্কার হিসেবে এই তিন বিজ্ঞানী পাবেন ১০ লাখ ইউরো৷

রসায়নে দুই হাজার আট সালের নোবেল পুরস্কার পেলেন যৌথভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই গবেষক মার্টিন চ্যালফি, রজার টিসিয়েন এবং জাপানের ওসামু শিমোমুরা৷ জিএফপি নামক একটি প্রোটিন আবিষ্কারের জন্য তাঁরা এই পুরস্কার জিতেছেন৷ গ্রীন ফ্লুরোসেন্ট প্রোটিন বা জিএফপি নামক এই প্রোটিন ইতিমধ্যেই প্রাণীবিজ্ঞানের গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে গণ্য হয়েছে৷ ক্যান্সার ও আল্সাইমারের মত ঘাতক ব্যাধি প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করতে প্রোটিনটি কাজে লাগছে৷ তিন গবেষকই জিএফপি নিয়ে গবেষণার সময় আর্সেনিকের মধ্যে এর প্রভাব নিয়ে কাজ করেছেন৷ উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি বাংলাদেশে ভূ-গর্ভস্থ পানিতে উচ্চ মাত্রায় আর্সেনিক থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে৷

চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল জিতলেন দুই জাপানী ও টোকিওতে জন্ম গ্রহণকারী এক মার্কিন বিজ্ঞানী৷ এঁরা হলেন মাকাতো কাবায়াশি,তোশিহিদে মাস্কাওয়া এবং ইয়ইচিরো নাম্বু৷ পদার্থের অভ্যন্তরীণ কাঠামো গঠনে নতুন ধারণা দেয়ার জন্য তাঁদেরকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়৷