1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত

২৬ ডিসেম্বর ২০১২

আমেদাবাদের সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামে বিজেপি ও অ-বিজেপি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল কমলা বেনিওয়াল৷ শপথ গ্রহণের পর তিনি বলেন, জনগণের আস্থার মর্যাদা তিনি রাখবেন৷

https://p.dw.com/p/1799i
India's Gujarat state chief minister Narendra Modi, greets his supporters upon arriving at the party's state headquarters after casting his vote in the second phase of the state assembly elections in Ahmadabad, India, Monday, Dec. 17, 2012. Ninety-five seats go for polls on Monday in the second and last phase of the elections in which 19.8 million voters will decide the fate of 820 candidates including Modi, who is seeking his third term, according to local news agency Press Trust of India. (Foto:Ajit Solanki/AP/dapd)
ছবি: AP

বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ আমেদাবাদের সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামে প্রায় আড়াই লাখ সমর্থকের সামনে চতুর্থবারের মতো গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল কমলা বেনিওয়াল৷ একই সঙ্গে শপথ নেন আরও ১৬ জন মন্ত্রী৷ সাতজন ক্যাবিনেট ও নয়জন প্রতিমন্ত্রী৷ ‘ভারত মাতা কি জয়' ধ্বনিতে মুখরিত হয় স্টেডিয়াম৷

উপস্থিত ছিলেন বিজেপি'র শীর্ষ নেতৃত্ব৷ আডবানি, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিং, নিতীন গডকড়ি, ভেঙ্কাইয়া নাইডু, অরুণ জেটলি প্রমুখ৷ অ-বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে ছিলেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে প্রমুখ৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চিত্রতারকা ও ক্রীড়া তারকারা৷

তবে উপস্থিত ছিলেন না এনডিএ শরিক বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷ তাঁর জায়গায় আসেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী৷ উপস্থিত ছিলেন না মোদীর মতাদর্শগত অভিভাবক হিন্দুত্ববাদী আরএসএস-এর শীর্ষ নেতৃত্বও৷ পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, মোদীর সঙ্গে আরএসএস-এর সম্পর্ক আর আগের মতো নেই৷

মোদীর সমর্থকরা মনে করেন, মোদীর বিপুল সাফল্য জাতীয় স্তরে তাঁর বৃহত্তর ভূমিকার সোপান৷ সেটা হতে পারে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করা৷ কিন্তু মোদীকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করা নিয়ে দলের মধ্যেই আছে বিভাজন৷ বিভাজন শরিক দলের মধ্যেও৷ মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করলে জেডি (ইউ) জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাবার হুমকি দিয়েছে৷ কারণ তাদের মতে, মোদী সাম্প্রদায়িক মতাদর্শে বিশ্বাসী৷

বিপক্ষ শিবির মনে করে, সর্বভারতীয় স্তরে মোদীর মতো কড়া শৃঙ্খলাপরায়ণ দ্রুত সিদ্ধান্তগ্রহণকারী ব্যক্তির দরকার৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদী যদি তাঁর সাম্প্রদায়িক তকমাটা ঝেড়ে ফেলে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষতার ইমেজ তুলে ধরতে পারেন, তাহলে মোদীর প্রধানমন্ত্রী হবার বাধা অনেকটাই সহজ হতে পারে৷

ভারত এখন পুঁজিবাদী দেশ৷ প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক আর প্রতিবাদের দিন আর নেই৷ দৃঢ় সিদ্ধান্ত এবং তার বাস্তবায়নই বিকাশের মূল মন্ত্র৷ মোদীর ‘ট্র্যাক রেকর্ড' কিন্তু তেমনটাই বলে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য