1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘুস কেলেঙ্কারি নিয়ে ফিফার এথিক্স কমিটির গোপন প্রতিবেদন

২৩ জুন ২০১১

ফিফা’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেপ ব্লাটারকে হারাতে ঘুস প্রদানের অভিযোগ ওঠার পর মোহাম্মদ বিন হাম্মাম প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন৷ নির্বাচিত হন ব্লাটার৷ কিন্তু তারপরও সেই ঘটনার সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি৷

https://p.dw.com/p/11i0A
epa02759100 (FILES) FIFA Vice President and CONCACAF President Jack Warner speaks at a news conference before the start of the Confederation of North, Central American and Caribbean Association Football Gold Cup 2007 final match between Mexico and the USA at Soldier Field in Chicago, Illinois, USA, 24 June 2007. FIFA executive Mohamed Bin Hammam and vice president Jack Warner were provisionally suspended by the ethics committee of the ruling football body on on 29 May 2011 over alleged bribery attempts. EPA/TANNEN MAURY +++(c) dpa - Bildfunk+++
জ্যাক ওয়ার্নারছবি: picture-alliance/dpa

বুধবার যুক্তরাজ্যের প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের কাছে ফিফা এথিক্স কমিটির একটি গোপন প্রতিবেদন পৌঁছানোর পর আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ঘুস কেলেঙ্কারির আলোচনা৷ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রধান বিন হাম্মামের বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক, বিশ্বাসযোগ্য এবং অভিভূত হওয়ার মতো' সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ এছাড়া ফিফার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্যাক ওয়ার্নার এর বিরুদ্ধে এই ঘুস লেনদেনে সহায়ক হিসেবে কাজ করার প্রমাণ রয়েছে৷

তবে এর আগেই চলতি সপ্তাহে ফিফা জানিয়ে দিয়েছে যে, ওয়ার্নার ফিফার ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং ফুটবল সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি৷ তাই একইসাথে তাঁর বিরুদ্ধে ঘুস কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার ঘটনা তদন্ত প্রক্রিয়াও স্থগিত করা হয়েছে এবং তাঁকে নিষ্পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷

কিন্তু সর্বশেষ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ফিফা প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিন হাম্মামকে বিজয়ী করার জন্য কর্মকর্তাদের ঘুস দেওয়া হয়েছে৷ আর এই কাজে সহযোগিতা করেছেন ওয়ার্নার বলেই সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে৷ ত্রিনিদাদে মে মাসের ১০ এবং ১১ তারিখ ক্যারিবিয়ান ফুটবল ইউনিয়নের ২৫ জন সদস্যের এক বিশেষ বৈঠক আয়োজন করেছিলেন হাম্মাম এবং ওয়ার্নার৷ সেই বৈঠকে তাঁদের উভয়ের জ্ঞাতসারেই সদস্যদের মাঝে উপহার হিসেবে অর্থ বিতরণ করা হয়েছিল তার যথেষ্ট প্রমাণের কথাও উল্লেখ রয়েছে এই প্রতিবেদনে৷ এই প্রতিবেদনের ভাষ্য মতে, সেই বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যকে হলুদ খামে করে ৪০ হাজার ডলার করে দেওয়া হয়েছিল৷ এই ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী বাহামার প্রতিনিধি ফ্রেড লান এই খামটি ফেরত দেওয়ার আগে তার ভেতরে থাকা মুদ্রাগুলোর ছবি তুলে নিয়েছিলেন৷

অথচ অভিযোগ উত্থাপনের পর থেকেই বিন হাম্মাম এবং ওয়ার্নার উভয়েই এই অপরাধের কথা অস্বীকার করে আসছেন৷ এমনকি বুধবার ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনের তথ্যকেও বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ওয়ার্নার৷ তাঁর যুক্তি, ‘‘এথিক্স কমিটির কাছে যদি বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকে তবে আমার পদত্যাগ পত্র কেন তারা গ্রহণ করল এবং আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের তদন্তও কেন গত সপ্তাহে স্থগিত করা হলো?''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়