1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশঘানা

ঘানার যানজট থেকে মুক্তি দিচ্ছে অভিনব ই-বাইক

৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঘানার মতো উন্নয়নশীল দেশে পরিবহণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে৷ যানজট, উত্তাপ, দূরত্বের মতো কারণে আক্রার মানুষের সমস্যার শেষ নেই৷ বিশেষভাবে তৈরি ই-বাইক সেই সমস্যা কিছুটা হলেও কমাতে পারছে৷

https://p.dw.com/p/4VxdV
ব্যাটারির পারফরমেন্সের উপর নির্ভর করে ই-বাইকের দাম ৬০০ থেকে ৮৬০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে
ব্যাটারির পারফরমেন্সের উপর নির্ভর করে ই-বাইকের দাম ৬০০ থেকে ৮৬০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারেছবি: DW

ঘানার রাজধানী আক্রায় পরিবহণ ব্যবস্থা দুঃস্বপ্নের মতো৷ বেশিরভাগ সময়েই গরম থাকে৷ দূরত্বও অত্যন্ত বেশি৷ নিজে গাড়ি চালালে অথবা গণপরিবহণ ব্যবস্থা ব্যবহার করলে যানজটে আটকে পড়তে হয়৷

বিশেষ করে রাশ আওয়ারে যাতায়াতের সময় তিন গুণ বেশি হতে পারে৷ ফলে ঘানার মানুষ আরও বেশি করে দুই চাকার যানের দিকে ঝুঁকছেন৷ লরেন্স আগইয়েই পেশাদার সাইক্লিস্ট৷ বহু বছর ধরে তিনি ভিন্ন ধরনের ই-বাইক তৈরি করছেন৷ লরেন্স বলেন, ‘‘আমার বাইকের বিশেষত্ব হলো, প্রথমত আমি খারাপ হয়ে যাওয়া রিসাইকেল্ড ল্যাপটপ ব্যাটারি ব্যবহার করি৷ দ্বিতীয়ত আমি সেটির জন্য উচ্চ মানের যন্ত্রাংশ কিনি৷ সেগুলি খুবই শক্তিশালী৷ যেমন চীনা ফ্রেমের তুলনায় সেটি অনেক বেশি মজবুত৷ খুব কম বয়সেই আমি সেই কাজ শুরু করি৷ তখন বয়স সম্ভবত ১১ ছিল৷ মিউজিক ভিডিওয় মানুষকে ই-স্কুটার চালাতে দেখে নিজেই এমন একটি যান তৈরির সাধ হয়েছিল৷ তখন থেকেই এই ই-বাইক তৈরির পথে অগ্রসর হলাম৷''

২৬ বছরের এই তরুণ নিজেই সব কাজ শিখেছেন৷ তিনি প্রায় প্রতিদিনই ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখেন এবং নিজের ই-বাইকে রদবদল করেন৷ লরেন্স ইন্টারনেটে অবশিষ্ট যন্ত্রাংশের অর্ডার দেন৷

ই-বাইকে সমাধান খুঁজছে ঘানা

রাসেল মেনসা বড় আকারে চীনে তৈরি ই-বাইক বিক্রি করেন৷ কিন্তু সেগুলির অনেক সমস্যা রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘সঙ্গের ব্যাটারি তেমন টেকসই ছিল না৷ সবচেয়ে কম সময়ে সেটি আসার পর ক্রেতারা অভিযোগ করতে লাগলেন৷''

রাসেলের মতে, ই-বাইক সম্পর্কে ঘানার মানুষের আগ্রহ বেড়েই চলেছে৷ তিনি মাসে প্রায় আটটি ইউনিট বিক্রি করেন৷ কিন্তু দাম কম নয়৷ একটি ই-বাইকের জন্য ৩০০ থেকে ১,১০০ ইউরো গুনতে হয়৷ রাসেল বলেন, ‘‘ঘানায় ই-বাইকের বিশাল চাহিদা৷ ঘানার মানুষ ই-বাইক খুব ভালোবাসেন৷ দশ বছর আগে কেউ ই-বাইক সম্পর্কে জানতো না৷ তিন-চার বছর আগে ই-বাইক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে৷''

লরেন্সের জন্য শুধু ই-বাইক চালানোই আনন্দের কারণ নয়৷ বিশেষ করে জ্বালানির দাম বাড়া সত্ত্বেও সস্তায় ও দ্রুত যাতায়াত করার সুযোগও পাচ্ছেন তিনি৷ একবার চার্জ দিলে তাঁর ই-বাইকগুলি ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে৷ লরেন্সের ক্রেতা সাইমন গাডা নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘‘আমার কাজের জায়গা অনেক দূরে বলে আমি এটি কিনেছি৷ প্রথমে ভেবেছিলাম মোপেড কিনবো৷ তারপর লরেন্সকে আমার অবস্থার কথা বলায় সে বললো, আমার জন্য কিছু একটা করবে৷''

ব্যাটারির পারফরমেন্সের উপর নির্ভর করে লরেন্সের ই-বাইকের দাম ৬০০ থেকে ৮৬০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে৷ এখনো পর্যন্ত লরেন্স নিজের তৈরি সাতটি ই-বাইক বিক্রি করতে পেরেছেন৷ এখন তিনি নিজের ই-বাইকের স্বপ্ন আরও বড় আকারে কার্যকর করতে চান৷

ইয়াকব গেঙেনবাখ/এসবি