1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অগ্নিপরীক্ষা, মন্দার ছায়া

৭ নভেম্বর ২০১২

গ্রিসের সরকার বুধবার সংসদে নতুন ব্যয় সংকোচ কর্মসূচি অনুমোদন করাতে পারবে কি না, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে ইউরোপ সহ গোটা বিশ্ব৷ অন্যদিকে সামগ্রিকভাবে ইউরো এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/16dpt
ছবি: dapd

গ্রিসের জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রশ্নে কিছুটা অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ যদিও বুধবার গ্রিসের সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে রয়েছে৷ এ দিন সংসদে ভোটাভুটি হবে৷ আন্তর্জাতিক দাতাদের শর্ত অনুযায়ী নতুন দফার ব্যয় সংকোচ কর্মসূচি অনুমোদন করতে হবে৷ গ্রিস ব্যর্থ হলে পরবর্তী কিস্তির সাহায্য পাবে না৷ দেশ তখন দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে সরকারের পতন ঘটতে পারে৷ অপ্রিয় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে৷ এই অবস্থায় সরকারি জোটের মধ্যেও ভাঙন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ তবে সংসদে ভোটাভুটির ফল কী হবে, তা এখনো কেউ জানে না৷ অতএব গ্রিসকে ঘিরে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে৷ এ দিকে আগামী ১২ই নভেম্বর ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে গ্রিস'এর সহায়তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে না বলে কিছু মহলে শোনা যাচ্ছে৷

গ্রিসের প্রতিবেশী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষুদ্র দেশ সাইপ্রাসও ঋণভারে জর্জরিত৷ মঙ্গলবার ইউরোপীয় কমিশন সে দেশের জন্য এক ব্যাংক গ্যারেন্টি কর্মসূচি অনুমোদন করেছে৷ গত জুন মাসেই সাইপ্রাস বেলআউট-এর জন্য আবেদন জানিয়েছিল৷ এই মুহূর্তে সাইপ্রাসই ইইউ-র সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করছে৷

Symbolbild ESM
গ্রিসের সংকট ও মার্কিন নির্বাচনের মুখে ইউরোর বিনিময় মূল্য কিছুটা পড়ে গেছেছবি: picture-alliance/dpa

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখোই বলেছেন, ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাঁর দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কোনো আশা নেই৷ ২০১২ সালে তিনি বেলআউট-এর কোনো প্রয়োজন দেখছেন না৷ তবে এটাই তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়৷ প্রয়োজন দেখা দিলে আগামী বছর তিনি এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন৷

মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কারণে ইউরোপের পুঁজিবাজার সোমবার কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েছিল, যদিও মঙ্গলবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে৷ গ্রিসের সংকট ও মার্কিন নির্বাচনের মুখে ইউরোর বিনিময় মূল্য কিছুটা পড়ে গেছে৷

এ দিকে অক্টোবর মাসে ইউরো এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের বিশাল ক্ষতি হয়েছে৷ গত প্রায় সাড়ে তিন বছরে ‘পার্চেসিং পাওয়ার ইন্ডেক্সেস' সূচকে এত বড় মাত্রায় অবনতি দেখা যায় নি৷ সেইসঙ্গে বেড়ে চলেছে বেকারত্বও৷ বিশেষ করে জার্মানি ও ফ্রান্সে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ কিছুটা কমে যাওয়ায় সার্বিক চিত্রের বিশেষ অবনতি ঘটছে৷ ইউরো এলাকার বাইরের দেশ ব্রিটেনের পরিস্থিতিও ইতিবাচক নয়৷ ইউরোপীয় বাজেটকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের আপত্তি নিয়ে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে৷ জার্মান চ্যান্সেলার ম্যার্কেল বুধবার লন্ডনে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন৷ ফলে বলা যেতে পারে, যে গোটা ২০১২ সালটাই ইউরোপের অর্থনীতির জন্য তেমন সুফল বয়ে আনে নি৷ তবে শুধু ইউরোপ নয়, গোটা বিশ্বেই অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷

এমনই এক প্রেক্ষাপটে সোমবার মেক্সিকোয় জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠীর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানরা বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার অঙ্গীকার করেছেন৷ সেখানে ঘর গোছাতে ইউরোপের উপর আরও চাপ দেওয়া হয়েছে৷ তবে ইউরোপ কিছু প্রশংসাও কুড়িয়েছে৷ যেমন ব্যাংকিং ইউনিয়ন গড়ে তোলার উদ্যোগ, উদ্ধার তহবিল ইএসএম ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বন্ড কেনার উদ্যোগে সন্তুষ্ট বাকি দেশগুলি৷ শিল্পোন্নত ও উঠতি উন্নয়নশীল দেশগুলির গোষ্ঠী জি-টোয়েন্টি মার্কিন নির্বাচনের পর নতুন প্রশাসনের উদ্দেশ্যেও আরও সক্রিয় হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছে৷ চীনের উদ্দেশ্যেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে৷

এসবি/ডিজি (এপি, এফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য