1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গৃহযুদ্ধের পথে সিরিয়া, কপ্টার থেকে গুলি, নিহত ২৮

১১ জুন ২০১১

পরিস্থিতি চরমে উঠেছে সিরিয়ায়৷ হেলিকপ্টার থেকে বিক্ষোভকারীদের ওপর মেশিনগান চলেছে শুক্রবার৷ নিহত ২৮৷ আতঙ্কিত মানুষ পালাতে শুরু করেছে দেশ ছেড়ে৷ জাতিসংঘের মহাসচিবের টেলিফোন প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ৷

https://p.dw.com/p/11YUU
তুরস্কের সীমান্তে সিরিয় শরণার্থীরাছবি: dapd

এই প্রথম হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগানের গুলি

গত তিনমাস ধরে চলতে থাকা সিরিয়ার সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর এই প্রথম হেলিকপ্টার ব্যবহার করল আসাদের সেনাবাহিনী৷ উত্তর পশ্চিম সিরিয়ার মারাত আল নুমান শহরে বিক্ষোভকারীদের জমায়েতের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে শুক্রবার৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মোট পাঁচটি সেনা হেলিকপ্টার উড়ে এসে মেশিনগান থেকে নির্বিচারে গুলি চালায়৷ বস্তুত দেশজোড়া প্রতিবাদ বিক্ষোভের ওপর এইদিন সবচেয়ে কঠোর ছিল সেনাবাহিনী৷ ট্যাঙ্কবাহিনীও গুলি চালিয়েছে এইদিন সাধারণ মানুষের ওপর৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক মহলের জন্য হয়ে উঠছে উদ্বেগজনক৷

কী বলছে আন্তর্জাতিক মহল

বেশ কিছুদিন ধরেই এই সেনা লেলিয়ে দমন পীড়নের নিন্দা করে আসছে আন্তর্জাতিক মহল৷ বিশেষ করে জাতিসংঘ৷ জাতিসংঘের মহাসচিবের টেলিফোন গতকাল প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ৷ সিরিয়ার সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকে অতীতে বার তিনেক আসাদকে টেলিফোন করে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের অভিমত তাঁকে জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন৷ গতকালের নৃশংস দমনপীড়নের থবর পাওয়ার পর বান কি মুন ফের টেলিফোন করেন৷ আসাদ সেই টেলিফোনে কথা বলেন নি৷ সোজা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ প্রেসিডেন্টের এই আচরণ অবশ্যই আন্তর্জাতিক মহলের অপমান বলেই মনে করছে কূটনৈতিক দুনিয়া৷ এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার সিরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব আনার তোড়জোড় নিচ্ছে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে ওয়াশিংটন৷

Krise und Gewalt in Syrien
জিসর আল শঘুর শহরের সুনসান পথ৷ সেনা নেমে যাওয়ায় শহরে অঘোষিত কার্ফু আর আতঙ্কছবি: dapd

সেনাবাহিনীর একাংশ নাকি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে

এ খবরও শোনা যাচ্ছে বৈকি! আসাদ যে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে বিপ্লব ভাঙতে সচেষ্ট, সেই বাহিনীরই একাংশ নিজের দেশের অসামরিক মানুষকে গুলি করতে রাজি নয়৷ তারা কমান্ড মানছে না এবং অনেকেই মিশে যাচ্ছে বিদ্রোহীদের সঙ্গে৷ ফলে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে৷ এদিকে, নিকটবর্তী তুরস্ক, জর্ডান প্রভৃতি দেশে সিরিয়া থেকে আতঙ্কে পালিয়ে যেতে শুরু করেছে অনেকেই৷ কারণ, দেশে থাকলে যেকোন মুহূর্তে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে৷ সিরিয়ার অভ্যন্তরে সক্রিয় মানবাধিকার সংগঠনগুলির তরফে জানা গেছে এই তথ্য৷ তারা ক্ষেত্রবিশেষে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে৷ কারণ, সিরিয়ার অভ্যন্তর থেকে সরাসরি সংবাদ পাওয়ার পথ সেভাবে এই মুহূর্তে নেই৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : ফাহমিদা সুলতানা