1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাদ্দাফি সহ তিনজনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিস’

৯ সেপ্টেম্বর ২০১১

লিবিয়ার পরিস্থিতি এখনো অস্পষ্ট৷ গাদ্দাফি এখনো বেপাত্তা, তার অনুগামীরা এখনো আত্মসমর্পণ করে নি৷ এর মধ্যে ইন্টারপোল গাদ্দাফি সহ ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিস’ জারি করেছে৷

https://p.dw.com/p/12WDx
গাদ্দাফিছবি: dapd

ইন্টারপোল শুক্রবার গাদ্দাফি, তার পুত্র সাঈফ আল ইসলাম ও ভগ্নীপতি আব্দুল্লাহ আল সেনুসির বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিস' জারি করেছে৷ এর আগে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে এই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর ইন্টারপোল'এর কাছে এই মর্মে অনুরোধ জানিয়েছিল৷ ‘রেড নোটিস' জারি করলে ইন্টারপোলের পক্ষে সহজেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিতরণ করা যায় ও প্রত্যর্পণের কাজ সহজ হয়ে যায়৷

লিবিয়ার বর্তমান শাসক পরিষদ এনটিসি'র নেতা মাহমুদ জিব্রিল শুক্রবার বলেছেন, গাদ্দাফি প্রশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শেষ হতে এখনো অনেক দেরি রয়েছে৷ গাদ্দাফির প্রস্থানের পর জিব্রিল প্রথমবারের মতো ত্রিপোলিতে এসেছেন৷ তিনি দেশের সব গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেন৷

বৃহস্পতিবার এক অডিও বার্তায় গাদ্দাফি দাবি করেন, তিনি এখনো লিবিয়ায় রয়েছেন এবং মোটেই প্রতিবেশী দেশ নাইজারে পালিয়ে যান নি৷ এদিকে আল আরাবিয়া টেলিভিশনের সূত্র অনুযায়ী বিদ্রোহীরা গাদ্দাফিকে খুঁজে বার করতে যোদ্ধাদের নিয়ে কিছু বিশেষ ইউনিট তৈরি করেছে৷ তারা গাদ্দাফির সহযোগীদের টেলিফোন কলে আড়ি পেতে প্রাক্তন নেতার অবস্থান জানার চেষ্টা করবে৷ ত্রিপোলির সামরিক পরিষদের মুখপাত্র আনিস শরিফ জানিয়েছেন, প্রায় ২০০ যোদ্ধা এই বিশেষ বাহিনীতে সক্রিয় রয়েছে৷ তাঁর মতে, গাদ্দাফিকে আটক করা এখন শুধু সময়ের প্রশ্ন৷

Gaddafi-Sohn dämpft Hoffnungen von IRA-Opfern
সাঈফ আল ইসলামছবি: picture-alliance/dpa

সির্ত, বানি ওয়ালিদ অথবা সাবহা শহরে গাদ্দাফি আত্মগোপন করে রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ এই তিনটি শহরের উপরেই এখনো তার অনুগামীদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে৷ গাদ্দাফির অনুগামীরা শুক্রবার বানি ওয়ালিদ থেকে একটি রকেট নিক্ষেপ করেছে৷ তারা এভাবেই দেশের নতুন নেতৃত্বের ধৈর্যের সীমা পরখ করে দেখতে চায় বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছে৷

শুক্রবার বিদ্রোহীরাও সির্ত ও বানি ওয়ালিদের দিকে আরও এগোতে শুরু করেছে৷ এনটিসি গাদ্দাফির অনুগামীদের আত্মসমর্পণের যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তা শনিবার শেষ হচ্ছে৷ এর মধ্যে তারা শর্ত না মানলে বিদ্রোহীরা পুরোপুরি হামলা শুরু করার হুমকি দিয়েছে৷ তবে সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিদ্রোহীরা জুফ্রা মরূদ্যান দখল করার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে৷ বিদ্রোহীদের অন্যতম কমান্ডার মুস্তফা আল সামু বলেন, এই মরূদ্যানেই গাদ্দাফি বাহিনী বিশাল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম জমিয়ে রেখেছে৷ প্রায় ২৮০টি গুদামে এই সব অস্ত্রশস্ত্র রাখা আছে বলে তিনি দাবি করেন৷ অ্যামেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলি চায় না, যে সেই সব আধুনিক অস্ত্র প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে বিক্রি বা বিতরণ করে দেওয়া হোক৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য