1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

গাজায় বিমান হামলায় মৃত হামাস নেতার তিন ছেলে

১১ এপ্রিল ২০২৪

গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাস নেতা হানিয়ের তিন ছেলে মৃত। মারা গেছেন তার তিন নাতিও।

https://p.dw.com/p/4edqp
ইসরায়েলের বিমান হামলায় পর গাড়ির অবস্থা।
এই গাড়িতে করেই যাচ্ছিলেন হানিয়ের তিন ছেলে। সেই গাড়ির অবস্থা দেখছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: AFP

ইসরায়েলের সেনার দাবি, হানিয়ের ছেলেরা মধ্য গাজায় সামরিক কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। কিন্তু সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণ তারা দেয়নি।

কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হানিয়ে জানিয়েছেন, তার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মহম্মদ মারা গেছেন।

তিনি বলেছেন, তার ১৩ ছেলের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় প্রভাব ফেলবে না।  তিনি বলেছেন, ''ওরা ভাবছে নেতাদের ছেলেদের মারলে আমরা ওদের দাবি মেনে নেব। কিন্তু তা হবে না। হামাস তার মত থেকে সরে আসবে না।''

তিন নাতিও মৃত

হামাস নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া জানিয়েছে, শাতি শরণার্থী শিবিরকে টার্গেট করেছিল ইসরায়েল। তিন ভাই তাদের পরিবারের সঙ্গে একটাই গাড়িতে যাচ্ছিলেন বলে আল আকসা টিভি জানিয়েছে।

হানিয়ে বলেছেন, ''ইসরায়েল হলো অপরাধী-শত্রু, যারা প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়ে চলছে।'' তিনি জানিয়েছেন, লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে তার পরিবারের ৬০ জন মারা গেছেন।

হামাস ইসরায়েলে ঢুকে আক্রমণ করে এক হাজার দুইশর বেশি মানুষকে হত্যা করার পর এই লড়াই শুরু হয়। অ্যামেরিকা. জার্মানি, ইসরায়েল-সহ অনেক দেশই হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে।

হানিয়ে এখন কাতারে থাকেন। ২০১৮ সালে অ্যামেরিকা তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করেছে। হামাসকেও যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে।

নেতানিয়াহু নিয়ে বাইডেনের বক্তব্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নেতানিয়াহু যেভাবে লড়াই করছেন, তা ঠিক নয়। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাতজন ত্রাণকর্মী মারা যাওয়ার পর বাইডেন একটি টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, ''আমার মনে হয়, নেতানিয়াহু ভুল করছে্ন। আমি তার পথ সমর্থন করি না।''

নেতানিয়াহুর কাছে বাইডেনের আর্জি, ''আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হোক। সাধারণ মানুষের কাছে খাবার ও ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। এই কাজ এখনই করতে হবে।''

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার বক্তব্য

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই বলেছেন, ''ইসরায়েলের হামলায় সিরিয়ায় ইরানের একাধিক জেনারেলের মৃত্যু হয়েছে। তার প্রতিশোধ নেয়া হবে।''

গত ১ এপ্রিল ইসরায়েলের বিমান-হামলায় দামাস্কে ইরানের দূতাবাস ধ্বংস হয়ে যায়। তার ফলে ১২ জন মারা যান। দুই জেনারেল-সহ সাতজন রেভলিউশনারি গার্ডের সদস্য মারা যান।

সরকারি টিভি-তে খামেনেই বলেছেন, ''ওরা যখন আমাদের দূতাবাস আক্রমণ করেছে, তার অর্থ হলো ওরা আমাদের জমি আক্রমণ করেছে।  এজন্য ওদের শাস্তি পেতে হবে।''

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)