1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গঙ্গা নদীর দূষণ

১৮ এপ্রিল ২০১২

গঙ্গা নদীর দূষণ রোধে অনেক দেরি হয়ে গেছে, তাই অবিলম্বে কাজ শুরু করতে প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন৷ তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে দেন যে, গঙ্গার স্রোত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ৷

https://p.dw.com/p/14fmi
ছবি: AP

দিল্লিতে ‘ন্যাশনাল গঙ্গা রিভার বেসিন অথরিটি'-র বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বারংবার বলেন, গঙ্গা দূষণ রোধে অনেক দেরি হয়ে গেছে৷ তাই তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, নদীর ইকোলজিক্যাল স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনা এবং তা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি৷ বর্জ্য পরিশোধনাগার গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে টাকা দেবার কথাও বলেন তিনি৷ এ ব্যাপারে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ২৬০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য৷

Indien Ministerpräsident Manmohan Singh
‘গঙ্গার স্রোত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ’ছবি: AP

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব কলকারখানাগুলি কী পরিমাণ বর্জ্য গঙ্গায় ফেলতে পারবে, তা বেঁধে দিতে হবে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে৷ বিধিভঙ্গকারী শিল্প কারখানার বিরুদ্ধে নিতে হবে কড়া ব্যবস্থা৷ আর এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে করতে হবে শক্তিশালী৷

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দৈনিক ২৮০ কোটি লিটার বর্জ্য গঙ্গায় পড়ছে৷ এর ২০ শতাংশ শিল্প কারখানার বর্জ্য৷ শিল্প বর্জ্যের অনেকটাই নষ্ট হয়না অর্থাৎ তা বায়ো-ডিগ্রেডেবল নয়৷

গঙ্গার দূষণ রোধে অবিলম্বে যা করণীয় সে সম্পর্কে ভারতের প্রথম সারির নদী বিশেষজ্ঞ ড. কল্যাণ রুদ্র ডয়চে ভেলেকে বলেন, প্রথমত ফোঁটা নোংরা জল যাতে নদীতে না পড়ে সেটা রাজ্য সরকারকে সুনিশ্চিত করতে হবে৷ দ্বিতীয়ত, নদীর উজানে নির্বিচারে বাঁধ ও জলাধারের নির্মাণ কাজ নিয়ন্ত্রিত করতে হবে৷ তৃতীয়ত, গঙ্গার স্রোত বজায় রাখতে হবে৷ অবিরল ধারা এবং নির্মল ধারা যাকে বলে ইকোলজিক্যাল ফ্লো, সেটা স্বাভাবিক রাখতে না পারলে গঙ্গাকে বাঁচানো সম্ভব নয়৷

কিন্তু এর জন্য সচেতনতা অভিযান দরকার৷ সেটা কী করে সম্ভব হবে? নদী বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্রের অভিমত, এজন্য একটা প্ল্যাটফর্ম লাগে৷ আর সেটা দিতে পারে রাজনৈতিক দল৷ দুঃখের বিষয়, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পরিবেশ অগ্রাধিকার পায়না৷ তারা চায় হাতে হাতে ফল৷ নদীর পাড়ে একটা শিল্প কারখানা হলে, লোকে দেখবে উন্নয়ন৷ কিন্তু তার দীর্ঘমেয়াদী অভিঘাত বহন করতে হবে ভবিষ্যত প্রজন্মকে৷

কল্যাণ রুদ্র সতর্ক করে দেন যে, প্রকৃতিরও সহ্যের সীমা আছে৷ তাই তাঁর প্রশ্ন - সত্যিই কী আমাদের অধিকার আছে ভবিষ্যত প্রজন্মকে বন্ধক রেখে উন্নয়ন করতে?

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য