1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোপা জয়ে উল্লসিত উরুগুয়ে, ফোরলানের ইতিহাস সৃষ্টি

২৫ জুলাই ২০১১

‘কোপা আমেরিকা'র শিরোপা জয়ের আনন্দে উদ্বেলিত উরুগুয়ে৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকার ফুটবল আসরে পঞ্চদশবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলার আনন্দ একটু বেশি বৈকি৷ এদিকে, পূর্ব প্রজন্মের সাফল্যের ধারা অটুট রাখার কৃতিত্ব ফোরলানের৷

https://p.dw.com/p/122pn
কোপা আমেরিকা হাতে উরুগুয়ের ক্যাপ্টেন দিয়েগো লুগানোছবি: dapd

এক বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ ফুটবল আসরে চতুর্থ স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল উরুগুয়েকে৷ তাছাড়া সেই ১৯৯৫ সালের পর আর কোপা আমেরিকার শিরোপা ছুঁতে পারেনি মাত্র ৩৪ লাখ মানুষের দেশটির ফুটবলপ্রেমীরা৷ তাই এতোদিন পর এমন এক সাফল্যের জন্য বেশ মুখিয়ে ছিল বলা যায়৷ ‘লোস চারুয়াস' নামে পরিচিত উরুগুয়ের জাতীয় দলের এই সাফল্য গোটা জাতিকেই তাই বেশ আন্দোলিত করেছে৷

আর এই সাফল্যের নায়ক হয়ে রয়েছেন স্ট্রাইকার দিয়েগো ফোরলান৷ কারণ লুইস সুয়ারেজের সূচনা গোলের পরই দু-দু'টো গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ফোরলান৷ ফলে ৩-০ গোলে প্যারাগুয়েকে হার মানতে হলো কোপা আমেরিকার ফাইনালে এসে৷ এই জয়ের মধ্য দিয়ে পঞ্চদশবারের মতো কোপা আমেরিকা শিরোপা ঘরে তুলল উরুগুয়ে৷ ফলে নিজের গড়া পূর্ব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল তারা৷ এতোদিন পর্যন্ত উরুগুয়ে এবং আর্জেন্টিনার রেকর্ড ছিল ১৪ বার করে কোপা শিরোপা জয়ের৷

NO FLASH Fußball Uruguay gewinnt Copa America
জয়ের পর দলের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাসছবি: AP

এবারের কোপা আসরের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পদক জিতলেন লিভারপুল তারকা লুইস সুয়ারেজ৷ তবে রিভার প্লেটস মনুমেন্টালের মাঠের জোড়া গোল আন্তর্জাতিক আসরে ৩১টি গোলের কৃতিত্ব এনে দিয়েছে ফোরলানকে৷ ফলে এই রেকর্ড তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে উরুগুয়ের শীর্ষ আন্তর্জাতিক তারকা এক্টর স্কারোনে'র সারিতে৷ ১৯২৪ থেকে ১৯৩০ সাল সময়ে বিশ্বকাপ এবং দুইবারের অলিম্পিক শিরোপা জয়ী তারকা ছিলেন স্যারন৷

এদিকে, দিয়েগো ফোরলানের উচ্ছ্বাসের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে কোপা অ্যামেরিকার শিরোপা জয়ে তাঁর তিন প্রজন্মের ছোঁয়া৷ ফোরলানের বাবা পাবলো ফোরলান এবং নানা হুয়ান কার্লোস কোরেজোও ফুটবলের দক্ষিণ অ্যামেরিকান মুকুট পরিয়েছিলেন নিজ জাতির শিরে৷ বাবা পাবলো ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত উরুগুয়ের হয়ে বিশ্বকাপ আসরে খেলেছেন৷ এর মধ্যে ১৯৬৭ সালে কোপা অ্যামেরিকার শিরোপা জয়ের সময়ও দলে ছিলেন পাবলো৷ আর নানা কোরেজো উরুগুয়ের বিশ্বকাপ দলের কোচ ছিলেন ১৯৬২ সালের আসরে৷ নিজ বংশের সেই সাফল্যের ধারার কথা উল্লেখ করে ৩২ বছর বয়সি ফোরলান বললেন, ‘‘আমার নানা এবং বাবাও চ্যাম্পিয়ন ছিলেন৷ আর এখন আমিও সেটা অর্জন করেছি - এটার জন্য আমি গর্বিত৷ এমন ঘটনা তো আর প্রতিদিন ঘটে না৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন