1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

১৬ নভেম্বর ২০০৯

খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ৷ ইটালির রাজধানী রোমে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্ব শীর্ষসম্মেলনে দেয়া ভাষণে একথা জানালেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

https://p.dw.com/p/KYTn
শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)ছবি: Mustafiz Mamun

শেখ হাসিনা তিনি ক্ষুধাপীড়িত লাখ লাখ মানুষের মুখে আহার যোগানোর ব্যাপারে উন্নত দেশগুলোর নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন৷ খাদ্য নিরাপত্তার ওপর হুমকির মোকাবিলায় তাদের প্রতি একটি তহবিল গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা৷ তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো তাদের ওডিএ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জাতীয় আয়ের ০.৭ শতাংশ উন্নয়নশীল দেশসমূহকে প্রদান এবং ব্রাসেলস প্রোগ্রাম অফ এ্যাকশনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১০ সালের মধ্যে ০.২ শতাংশ স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে দিলে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহ করা কঠিন কাজ হবে না৷

বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন৷ বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও এই সম্মেলনের আয়োজক৷ ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৯০০ কোটি৷ আর এই সব মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন সত্তর শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে বলে এফএও জানাচ্ছে৷ বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক ডয়চে ভেলেকে এই সম্মেলন প্রসঙ্গে বললেন, আমরা কৃষিখাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আশা করি৷

স্থানীয় সময় বিকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বাংলায় দেয়া এই ভাষণে তিনি আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত৷ কৃষি উত্পাদন ব্যবস্থা যে কীভাবে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে এবং এর ফলে ফসল উত্পাদন ব্যাহত হয়, বাংলাদেশ তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ৷ তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী হঠাৎ খাদ্য ঘাটতি এবং খাদ্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার প্রেক্ষাপটে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশী উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বর্তমান বিশ্বের প্রায় ছয়-ভাগের একভাগ অর্থাৎ একশ' কোটি মানুষ এখন অব্যাহত ক্ষুধা-দারিদ্র্যের সম্মুখীন৷ বিশ্বের যেকোন মানুষের জন্যই এ চিত্র বেদনার এবং কষ্টের৷ আর ক্ষুধাপীড়িত এই জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই বাস করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে৷ একদিকে তাদের খাদ্য ঘাটতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের উন্নয়ন কর্মসূচি এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হচ্ছে৷

তিনি বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদেরকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুতের মত স্পর্শকাতর ও অগ্রাধিকার সামাজিক খাতে বরাদ্দ কমাতে বাধ্য করছে৷ অর্থ সঙ্কটের জন্য আমাদের কৃষি গবেষণা বিশেষ করে খাদ্য উত্পাদন সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে৷''

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, 'উন্নত দেশগুলো তাদের আর্থিক ধস ঠেকাতে হাজার কোটি ডলার ব্যয় করতে পারলে ক্ষুধাপীড়িত লাখ লাখ মানুষের আহার যোগাতে তাদের কি কোন দায়দায়িত্ব নেই?'

প্রতিবেদক: সাগর সারওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক