1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিল জামায়াত

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৪ মার্চ ২০১৩

বগুড়াসহ কিছু এলাকা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিল জামায়াত৷ একারণে তারা কিছুদিন আগে থানা, পুলিশ ফাঁড়ি এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়৷ হামলা চালায় সরকারি সম্পদ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং প্রশাসনিক ভবনে৷

https://p.dw.com/p/1836K
Bangladesh police patrol the street amidst fires set by Jamaat-e-Islami activists during a clash between police and activists in Chittagong on March 2, 2013. Bangladesh police on Saturday opened fire at Islamists protesting the war crimes' conviction of one of their leaders, killing three people outside the port city of Chittagong. AFP PHOTO (Photo credit should read STR/AFP/Getty Images)
ছবি: STR/AFP/Getty Imagesla

২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ দেয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যাল৷ এরপর তেসরা মার্চ ভোরে বগুড়া শহরসহ পুরো জেলায় প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির৷ তারা নন্দিগ্রাম ও শাহজাহানপুর থানা ছাড়াও বগুড়া শহরের ৫টি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়৷ পুড়িয়ে দেয় নন্দিগ্রাম উপজেলা পরিষদ ভবন৷ ওই দিন বগুড়ার ৮ জেলায় সহিংসতায় ১৫ জন নিহত হন৷ এসব ঘটনায় মোট ৫৪টি মামলায় আসামি করা হয়েছে দেড় লাখ৷ তবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৪ হাজার ব্যক্তির৷ আর এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র ২৫১ জনকে৷

গ্রেফতারের সংখ্যা এত কম কেন? জানতে চাইলে বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক ডয়চে ভেলেকে জানান, ওই দিনের হামলায় বগুড়ার বাইরে থেকে আসা বিপুল সংখ্যক জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী অংশ নেয়৷ তাদের চিহ্নিত করা যায়নি৷ আর গেলেও তারা তাদের এলাকায় ফিরে গেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘জামায়াত শিবিরের হামলায় তাদের সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকও আহত হয়েছেন৷ এর মানে হল বাইরে থেকে আসা লোকজন তাদের চিনতে পারেনি৷''

হক বলেন, ‘‘এই হামলার ধরন দেখে মনে হয়েছে তারা বগুড়ার পুলিশ এবং প্রশাসনকে আক্রমণের মাধ্যমে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিল৷ কারণ থানাগুলো তাদের দখলে চলে গেলে তারা সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারত৷ কিন্তু তারা সফল হয়নি৷''

পুলিশ সুপার জানান, জামায়াতের স্থানীয় পর্যায়ের আটক নেতারা স্বীকার করেছে ‘সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে' - এই গুজব তারা পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়েছিল সাধারণ মানুষকে মাঠে নামাতে৷ তারা চেয়েছিল তাদের শক্তির জানান দিতে৷ তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে৷ তবে পুরোপুরি দখলে নেয়া বলতে যা বুঝায় তা তাদের পকিল্পনায় থাকার কথা অস্বীকার করেছেন আটক জামায়াত নেতারা৷

সরকারের গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সরাদেশে মোট ১৯টি জায়গায় ব্যাপক সহিংসতা হয়৷ এরমধ্যে বগুড়া, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, রংপুর, চট্টগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাণ্ডব আর নাশকতার ধরন একই৷ তাদের প্রধান টার্গেট ছিল পুলিশ এবং সরকারি স্থাপনা৷ তারা কিছু এলাকাকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করকে সক্ষম হয়েছিল৷ পুলিশ প্রশাসন এক সপ্তাহ পরে ওইসব এলাকায় যেতে সক্ষম হয়৷ চট্টগ্রাম মহাসড়কও বিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম হয়েছিল৷ তাদের টার্গেটই ছিল কিছু এলাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে শক্তি প্রদর্শন৷

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান কর্ণেল জিয়াউল হাসান ডয়চে ভেলেকে জানান, তারা তাদের শক্তি জানান দিতেই তাণ্ডব এবং সহিংসতা চালিয়েছে৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার মূল কারণ হল তাদের মনোবল ভেঙ্গে দিয়ে একধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য