1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৯ ফেব্রুয়ারি

৩১ জানুয়ারি ২০১২

জামায়াত নেতা মাওলানা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল৷ প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে হত্যা-ধর্ষণসহ ৯ ধরণের অভিযোগ এনেছে৷ তবে তার আইনজীবী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

https://p.dw.com/p/13tbY
কামারুজ্জামান (ডান থেকে দ্বিতীয়)ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আলবদর কমান্ডার হিসেবে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহ এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ এবং অগ্নিসংযোগে নেতৃত্ব দিয়েছেন৷ তিনি নিজে উপস্থিত থেকেও সরাসরি এসব মানবতা বিরোধী অপরাধ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ তাছাড়া তিনি স্বাধীনতা বিরোধী আলবদরের সংগঠক এবং বাংলাদেশে গণহত্যার ষড়যন্ত্র ‘অপরেশন সার্চ লাইটের' পরিকল্পনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷ ট্রাইবুনালে এসংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন, নথি ও তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনের পর আদালত তা পর্যবেক্ষণ করে অভিযোগ আমলে নেন৷ প্রসিকউটর একেএম সাইফুল ইসলাম জানান, আগামী ২৯ শে ফেব্রুয়ারি কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে৷ তার আগে রোববারের মধ্যে প্রসিকিউশনকে সব তথ্য প্রমাণ দাখিল করতে হবে৷

কামারুজ্জামানের আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সত্য নয়৷ তিনি তখন ছাত্র ছিলেন৷ এবং রাজনৈতিক কারণে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন৷ কিন্তু কোন ধরণের মানবতা বিরোধী অপরাধ তিনি করেননি৷

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গতবছরের নভেম্বরে ৩২৭ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়৷ এরপর ১১ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করলে তা সুবিন্যাস্ত নয় বলে প্রসিকিউশনকে ফিরিয়ে দেয় ট্রাইবুনাল৷ মঙ্গলবার ফের দাখিল করা আনু্ষ্ঠানিক অভিযোগ সুবিন্যাস্ত হওয়ায় আদালত তা গ্রহণ করলেন৷ এদিকে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ রোববার পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে৷ একজন সাক্ষী অসুস্থ হয়ে পড়ায় আদালত এ সিদ্ধান্ত দেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য