কলংক মোচনের রায়
১৯ নভেম্বর ২০০৯এই রায়ের মধ্য দিয়ে জাতি তার কলংক থেকে মুক্তি পেল বলে মন্তব্য সবশ্রেনির মানুষের৷
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা৷ সকাল ১০টার মধ্যে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আপীল আদালতে হাজির জন৷ আর ৫ বিচারক আদালতে আসেন একটু দেরিতে, বেলা সাড়ে ১১ টায়৷ পাচ সদস্যের বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি তফাজ্জল ইসলাম রায় ঘোষণা করেন পৌনে ১২ টায়৷ রায়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ১২ জন আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন তারা৷
১২ জনের ৫জন কারাগারে আটক আছেন৷ তারা হলেন, লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ আর্টিলারী, লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন ল্যান্সারও মেজর বজলুল হুদা৷
পলাতক ৭ জন হলেন, লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, মেজর শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এ এম রাশেদ চৌধুরী, মেজর নুর চৌধুরী ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন এবং মেজর আজিজ পাশা৷ আজিজ পাশা দেশের বাইরে মারা গেছেন বলে জানা যায়৷
রায় ঘোষণার পর সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আনিসুল হক৷ এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, জাতি দায়মুক্ত হল৷
আর মামলার বাদী বঙ্গবন্ধুর রেসিডেন্ট পিএ আ ফ ম মোহিতুল ইসলাম বলেন, রায়ের মধ্য দিয়ে তিনি দীর্ঘদিনের এক বেদনা থেকে মুক্তি পেলেন৷ দেশের সাধারণ মানুষ, সুশীল সমাজ এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন তারা রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন করবেন৷ বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া জানান৷ তিনি বলেন আইনের শাসনেরই জয় হয়েছে৷
৭৫'এর ১৫ই আগষ্ট ঘাতকরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে৷ নিম্ন আদালত ও হাইকোর্ট পেরিয়ে আজ আপীল বিভাগে এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষনা করা হল৷ তবে রায় কার্যকর করার পথে আরে কিছু আইনি প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে৷
প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক