1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এখন আর কেউ আটকাতে পারবে না?

তৌহিদুল ইসলাম
১ মার্চ ২০২৪

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসের নায়ক কুবের মাঝি৷ পদ্মা নদী ঘিরে জেলেদের জীবন ও জীবিকা৷ শৈশব-কৈশোরে কুবেরদের মতো জেলেপাড়ার জীবনযাত্রা দেখার সুযোগ হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/4d5gJ
গাজীপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজে ব্যস্ত শ্রমিকেরা
দেশে কর্মক্ষম নারী পুরুষের সংখ্যা সাত কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার জনছবি: Joy Saha/ZUMA Press Wire/picture alliance

যদিও পদ্মা নয়, তাদের মাছ ধরার ক্ষেত্র ছিল সন্দ্বীপ চ্যানেল, মেঘনা, কখনো কখনো বঙ্গোপসাগর৷ জেলেপাড়ায় যে পরিবারে পুত্র সন্তান বেশি, তাদেরকে খুব ঈর্ষা করা হতো৷ কারণ, ১২/১৩ বছর বয়স হলেই নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারে তারা৷ যত বেশি ছেলে সন্তান, তত বেশি সম্ভাবনা৷

মানে দাঁড়াচ্ছে, কর্মক্ষম মানুষের সুবিধা বা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের প্রত্যাশা বা ভাবনা নতুন বিষয় নয়৷ ওই জেলেপাড়াতেই দেখা গেছে, ছেলে সন্তান বেশি থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ তাদের আর্থিক অবস্থা বা ভাগ্য বদলাতে পারেনি৷ ভাবনা বা প্রত্যাশা থাকলেই তা সবক্ষেত্রে ফল দেয় না৷ দরকার ব্যবস্থাপনা৷ সুনিপুণ সমন্বয়ে ধরা দেয় সাফল্য৷ বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা কর্মক্ষম অধিক জনসংখ্যার সুবিধার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে প্রায় এক যুগ ধরে৷ আরও অন্তত এক যুগ থাকবে জনসংখ্যার এই অনুপাত৷

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সবশেষ জনশুমারি ও গৃহগণনা জরিপ করেছিল ২০২২ সালে৷ প্রায় এক বছর পর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়,দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন৷ তাদের মধ্যে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সি আছেন, ১১ কোটি ৭ লাখ৷ এটিই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড৷ কর্মসংস্থান বিবেচনার জন্য অধিকতর কর্মক্ষমদের সংখ্যা আরেকটু ছোট করে নেওয়া যায়৷ বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সি আছেন, ৪২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বা প্রায় সাত কোটি ২৮ লাখ জন৷ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের৷ তবুও আলোচনা বা কর্মপরিকল্পনার জন্য এটিকেই আমলে নিতে হবে৷

গত বছরের ২৫ অক্টোবর শ্রমশক্তি জরিপের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস৷ বলা হয়, দেশে কর্মক্ষম নারী পুরুষের সংখ্যা সাত কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার জন৷ এর মাঝে কাজে নিয়োজিত ছিলেন সাত কোটি চার লাখ ৭০ হাজার৷ কর্মজীবীদের মধ্যে চার কোটি ৫৬ লাখ পুরুষ আর দুই কোটি ৪৮ লাখ নারী৷ যদিও বিবিএস কর্মজীবীর যে সংজ্ঞা বেছে নিয়েছে, তা নিয়ে সমালোচনা আছে৷ সংজ্ঞা অনুযায়ী, সপ্তাহে অন্তত এক ঘন্টা অর্থের বিনিময়ে কাজ করেছেন, এমন ব্যক্তি কর্মে নিয়োজিত৷ তাকে বেকার বলা যাবে না৷

বেকার ও কর্মজীবী তরুণ-তরুণীর সংখ্যা এবং অবস্থান বোঝার জন্য বিবিএসের আরেকটি পরিসংখ্যানের দিকে চোখ দেয়া যেতে পারে৷ ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী কর্মক্ষম যুবক-যুবতী দুই কোটি ৬৮ লাখ ২৪ হাজার৷ কাজে আছেন, দুই কোটি ৪৬ লাখ ৭৫ হাজার৷ বেকার ২১ লাখ ৪৮ হাজার৷ এর মধ্যে প্রায় আট লাখ আছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয় বা সমপর্যায়ের ডিগ্রি অর্জন করেছেন৷ এসব বেকারত্বের বহিঃপ্রকাশও ঘটছে৷ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘গ্রামে গ্রামে ইতালি ফাঁদ'৷ মাদারীপুর থেকে মানব পাচার৷ ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়; প্রতিদিন গড়ে ১১১ বাংলাদেশির আবেদন; আগ্রহ ইতালি ফ্রান্সে৷ (২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, যমুনা টেলিভিশন)৷ গত বছর ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন ৪০ হাজারের বেশি৷ ২০১৫ সালের তুলনায় এটি দ্বিগুণেরও বেশি৷ তারা বৈধ বা অবৈধ পথে ইউরোপে পৌছেছেন, নিজের  অবস্থা বদলাতে৷

মোটা দাগে যা জানা যায়, তা হলো, প্রতিবছর দেশে ২২ লাখ লোক শ্রমবাজারে প্রবেশ করে৷ এরমধ্যে শিল্প, সেবা, কৃষি- সবমিলিয়ে দেশে কর্মসংস্থান হয় ১৩-১৪ লাখ কর্মীর৷ বাকিদের বিরাট অংশ জনশক্তি হিসেবে বিদেশে যান৷ এরকম ধারাবাহিকতায় দুই দশক ধরে বেকারের সংখ্যা থাকছে ২২-২৮ লাখের মধ্যে৷ চাকরির বাজারে কর্মক্ষম লোক যুক্ত হলেও আনুপাতিক হারে বাড়েনি কর্মসংস্থান৷ তাই বেকারের সংখ্যা কমছে না৷ শুরুর কথায় ফিরলে কী দাঁড়ায়? কুবেরদের জন্য তখন নদী-সমুদ্র অপেক্ষমান ছিল৷ মানে কাজ প্রস্তুত৷ শুধু কর্মী প্রয়োজন৷ এখনকার বাস্তবতা উল্টো৷ কর্মী প্রস্তুত কিন্তু প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র কম৷ সরাসরি বললে, তখন জেলেদের পুত্র সন্তান কিশোর হলেই নদীতে নামতে পারত৷ মাছ ধরে আয় করত৷ আর এখন প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নিয়ে চাকরির জন্য একের পর এক ইন্টারভিউ দিতে হয়৷ অনেকেই পান না কাঙ্খিত ‘জব'৷

জার্মানিতে আইটি-বিশেষজ্ঞের চাকরি পাওয়ার উপায়

চাকরির বাজারের অবস্থা বোঝাতে দু'টি জায়গায় নজর ফেরাই৷ এক, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিগুলোতে সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের ভিড়৷ তারা সবাই পড়তে যান৷ বিসিএসের প্রস্তুতি৷ লাইব্রেরি খোলার আগেই ব্যাগের লম্বা সারি৷ কার আগে কে ভেতরে প্রবেশ করবেন৷ বইতে কালো কালো যা আছে, সব পড়ে ফেলবেন৷ উগড়ে দিবেন পরীক্ষার সময়৷ উচ্চ পদে সরকারি চাকরি মানে জীবন অর্থপূর্ণ! দুই, বেসরকারি খাতে যারা ভাইভা নিয়ে থাকেন এবং দিয়ে থাকেন, তারা জানেন পরিস্থিতিটা কেমন হয়৷ খুব কম জনই পারেন, নিজেকে মেলে ধরতে৷ মোটা দাগে সবার চাওয়া এক৷ চাকরি পেলে নিজেকে প্রস্তুত করে নিব৷ এত দীর্ঘ সময়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় কেউ তাদের শিখিয়ে দেন না, কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে চাকরি পেতে যেতে হয়৷ দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এখনও পুরনো ধ্যান-ধারণা নির্ভর৷ পাঠ্য ও শিক্ষার মান নিয়ে আলাপ খুব কম৷ সনদ নির্ভরশীলতা বা যেনতেনভাবে পাশ করে যাওয়ার ঐতিহ্য থেকে আমরা বের হতে পারছি না৷ দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী৷ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও কমবেশি তাই৷ চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে৷ কিন্তু জনসংখ্যার অনুপাতে এ হার অনেক কম৷ এত বিরাট একটা অংশকে বাদ রেখে কাঙ্খিত সাফল্য আমরা কীভাবে আশা করতে পারি? কর্মক্ষম জনসংখ্যার সুযোগ নিতে হলে এ অচলাবস্থা ভাঙতে হবে৷

চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের  সুবিধা পেয়েছে৷ প্রতিবেশি ভারত বাংলাদেশের জন্য উদাহরণ হতে পারে৷ তারা দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করেছে৷ এর আগে কোন কোন খাতে দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা রয়েছে, তা ভালোভাবে  নিরূপন করে ‘মাস্টার প্ল্যান' করেছে৷ তরুণ-তরুণীদের আইটি ও কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে৷ সমন্বিতভাবে কাজ করেছে, দেশটির সরকারি ও বেসরকারি খাত৷ বাংলাদেশের সময় যেহেতু ফুরিয়ে যায়নি, তাই দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করাই হওয়া উচিত মূল লক্ষ্য৷

বিগত বছরগুলোতে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা খুব বেশি ‘ইউটিলাইজ' হয়েছে, এমনটা বলা যাবে না৷ প্রশ্ন হচ্ছে, সামনের বছরগুলোতে অর্থনৈতিক অর্জনের প্রবাহ কতটা বেগবান হতে পারে, কর্মক্ষম লোকবলের মাধ্যমে৷ চোখ বন্ধ করলে দেখা যায়, তালগোল পাকিয়েই চলছে অগ্রযাত্রা৷ তরতর করে উপরে যাওয়ার চিন্তা এখনও উচ্চাভিলাষ৷ পণ্য ও সেবা এবং দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের উন্নয়নের পরবর্তী ধাপ৷ পণ্য ও সেবা উৎপাদন হবে শিল্পায়ন হলে৷ শিল্পায়নের জন্য দরকার বিনিয়োগ৷ কর্মসংস্থান বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে শিল্পায়ন৷ কিন্তু মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা অর্থনীতি টেনে নিতে সংকোচনমূলক ঋণনীতিতে চলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷ যা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহায়ক নয়৷     

মুষ্টি চাল সঞ্চয়/সংগ্রহ করা বাঙালি এখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে৷ ঋণ নিয়ে আগাম ভোগে অভ্যস্ত হচ্ছে সমাজ৷ ‘টান্সফরমেশনের' এ সময়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের ভাবনাতেও এসেছে বদল৷ জন্মদাতা বাবার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে ভয় পাওয়ার দিন গত হয়েছে অনেক আগে৷ অনেকে এখন চাকরির বদলে ফ্রিল্যান্সিং, স্টার্টআপে আগ্রহ দেখাচ্ছে৷ কেউ কেউ গরু, মুরগী, মাছ ইত্যাদি খামার করছে৷ ধারণা হিসেবে এগুলো ভালো৷ কিন্তু খামার করতে গিয়ে কিংবা স্টার্টআপে অনেকেই ব্যর্থ হচ্ছে৷ এতে একদিকে পুঁজি হারিয়ে বিপাকে পড়ছেন উদ্যোক্তা৷ অন্যদিকে যারা কর্মী হিসেবে যোগ দেন, তারা চাকরি হারিয়ে বেকার হচ্ছেন৷ যে ক'জন সফল হচ্ছেন, তাদের খবর বড় করে প্রকাশ/প্রচার হচ্ছে গণমাধ্যমে৷ কিন্তু অসংখ্য জনের নিরব কান্না থেকে যাচ্ছে আড়ালে৷ তরুণ উদ্যোক্তাদের পথচলা কীভাবে মসৃন করা যায়, সেটি ভাবার সময় এখন৷ অভিভাবক, সমাজ, রাষ্ট্র- সবপক্ষের মনযোগের দাবি রাখেন তারা৷ 

বাংলাদেশ আমদানি-নির্ভর দেশ৷ বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে ধুঁকছে অর্থনীতি৷ রপ্তানি বাড়ানোর মাধ্যমে পাল্টানো যেতে পারে চিত্র৷ এরই মধ্যে পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও বিদেশি মুদ্রা উপার্জনের অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে৷ জনশক্তি রপ্তানিতেও সাফল্য বিশাল৷ সফটওয়্যার রপ্তানিও বাড়ছে৷ এ পর্যায়ে কারিগরি দক্ষতা-সম্পন্ন জনশক্তি রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ এজন্য ভাষা, নার্সিং, ইলেক্ট্রিশিয়ান, ড্রাইভিং, ওয়েল্ডিং মত কারিগরি দক্ষতায় পূর্ণ মনোনিবেশ করা চাই৷ এমনকি দেশীয় উদ্যোক্তারাও বিভিন্ন সময়ে অনুযোগের সুরে বলে থাকেন, তাদের প্রয়োজন কারিগরি দক্ষতা-সম্পন্ন লোক৷ আর প্রার্থীদের সবাই আশা করেন, অফিসের হোয়াইট কালার জব৷ আইটি'র কথা এখন নতুন করে বলা লাগে না৷ দেশে বা বিদেশে এর প্রসার বাড়তেই থাকবে৷ বাংলাদেশের তরুণদেরও কেউ কেউ নিজের উদ্ভাবনী সক্ষমতা দিয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশের৷ কিন্তু বিশাল তরুণ সমাজের তুলনায় এ হার খুবই অল্প৷ অথচ সবার হাতেই আছে মোবাইল৷ মোট ইন্টারনেট ব্যবহারের ৯০ ভাগের বেশি হচ্ছে এ মোবাইলে৷ আদতে বড় অংশ ইউটিউব/ফেসবুক/টিকটক বা অন্য সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও দেখে ড্যাটা খরচ করছেন৷ খুব কমসংখ্যকই আছেন, যারা উল্লেখ করার মত ফরেন কারেন্সি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আনতে পারছেন৷

আমাদের অবস্থা অনেকটা বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতার মত৷ দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ২৬ হাজার মেগাওয়াট৷ গ্রীষ্মে চাহিদা ১৭ হাজার৷ তুবও লোডশেডিং হবে না- এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না বিদ্যুৎ বিভাগ৷ দেশের তরুণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বিশাল৷ দরকার তাদেরকে এক সুরে, ছন্দে বাঁধা৷ সে কাজটি যারা করবেন, তারা আসলে কী করছেন? এখন পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের হিসাব নিয়ে তৃপ্ত তারা৷ অনেকটা অঞ্জণ দত্তের বেলা বোস গানের মত-    চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো/এখন আর কেউ আটকাতে পারবে না…

বাস্তবে বেকার বাড়ছে৷ ঘরে আর বাইরে ইজি কাজে বিজি তবু সময় নেই যার/আমি সে বেকার, সেই বেকার…৷ তরুণদের বোঝাতে হবে, সফলতা পেতে ধৈর্য লাগবে৷ পরিশ্রম লাগবে৷ ধৈর্য আর পরিশ্রমের কথা এলেই যেন সব আলাপ থেমে না যায়৷ কে দেবেন সেই অনুপ্রেরণা!

তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিক
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য