1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওয়ার্ল্ড ডিজিটাল লাইব্রেরির উদ্বোধন

২১ এপ্রিল ২০০৯

মঙ্গলবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড ডিজিটাল লাইব্রেরির ওয়েবসাইটটি৷ ইউনেস্কোসহ ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় চালু হয়েছে এই ডিজিটাল লাইব্রেরি৷

https://p.dw.com/p/HbLj
ওয়ার্ল্ড ডিজিটাল লাইব্রেরির ওয়েবপেজছবি: World Digital Library

লাইব্রেরিতে বই পড়তে গেলে কত ঝামেলা, ক্যাটালগ দেখা, এই তাক থেকে সেই তাকে বই খোঁজা৷ পড়তে গেলেও আবার নানা নির্দেশ, পাতা ভাঁজ করবেন না, ছিঁড়ে গেলে জরিমানা৷ যদি এমন কোন লাইব্রেরি হয় যেখানে এসব কিছু নেই৷ নেই ক্যাটালগ খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হওয়া কিংবা পাতা ছিঁড়ে যাওয়ার ভয়৷ ডিজিটাল যুগের কল্যাণে এখন তা সম্ভব হয়েছে৷ ইন্টারনেটের ফলে পুস্তকের পাতা এখন চলে এসেছে কম্পিউটার স্ক্রিনে৷

বিশ্বের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস যেখানে রয়েছে ১৩০ মিলিয়ন বই ও পান্ডুলিপি৷ এখানকার লাইব্রেরিয়ান হলেন জেমস বিলিংটন৷ তাঁর মাথাতেই প্রথম এই চিন্তা আসে, যদি এ বিশাল জ্ঞান ভান্ডারকে ছোট করে মানুষের সামনে তুলে ধরা যেত৷ সেই চিন্তা থেকে তিনি কাজ শুরু করেন গোটা বিশ্বের বই পুস্তককে ডিজিটাল আকারে প্রকাশ করার৷ তাঁর এ উদ্যোগে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো৷ ২০০৭ সালে ইউনেস্কোর সহায়তায় তিনি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেন ওয়ার্ল্ড ডিজিটাল লাইব্রেরি ডট অর্গ নামে ডিজিটাল লাইব্রেরিটি৷ দুই বছর পরীক্ষামূলকভাবে চালু থাকার পর মঙ্গলবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড ডিজিটাল লাইব্রেরির ওয়েবসাইটটি৷

Frauen online
লাইব্রেরী ওয়ার্ক মানে এখন বই ঘাটাঘাটির বদলে ইন্টারনেট ব্রাউজিংছবি: AP

কেবল ইউনেস্কো নয় আরো ৩২টি প্রতিষ্ঠান দিনরাত পরিশ্রম করেছে এই ডিজিটাল লাইব্রেরিটি গড়ে তুলতে৷ কি নেই এতে, হাজার হাজার বছরের প্রাচীন চীনা ক্যালিগ্রাফি থেকে শুরু করে ল্যাটিন আমেরিকার ছবি, দুর্লভ বই, মানচিত্র, পান্ডুলিপি ও চিত্রলিপি৷ এমনকি নামকরা পুরনো সিনেমার ক্লিপিংসও রয়েছে এই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে৷

মোট সাতটি ভাষায় পড়া যাবে ওয়ার্ল্ড ডিজিটাল লাইব্রেরির বইপত্র ও অন্যান্য জিনিস৷ এগুলো হচ্ছে আরবি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসী, পতুগিজ, রুশ এবং স্প্যানিশ৷ ইউনেস্কো আশা করছে এই বছর শেষ হওয়ার আগেই কমপক্ষে ৬০টি দেশকে ওয়ার্ল্ড ডিজিটাল লাইব্রেরির অংশীদার করা সম্ভব হবে৷

হয়তো আর বেশি দেরী নেই যেদিন সবগুলো লাইব্রেরিতে দেখা যাবে সারি সারি বইয়ের আলমারির পরিবর্তে কম্পিউটার ডেস্ক৷ কাগজে ছাপা বইয়ের জায়গায় রাখা আছে কম্পিউটার৷ অথবা দেখা যাবে সনাতন কোন লাইব্রেরিরই আর প্রয়োজন নেই৷ তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, কাগজের বইয়ের আবেদন কি আসলেই কখনো ফুরোবে? পড়ার ঘরের ছোট্ট লাইব্রেরিটির দিকে তাকিয়ে যে তৃপ্তি তা কি ইন্টারনেটে মিটবে?

প্রতিবেদক: রিয়াজু্ল ইসলাম, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক