1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

১ নভেম্বর ২০১২

একদিনেই অবস্থা অনেক পাল্টে দিয়েছিলেন রমনি৷ রায়ানের কাছে বাইডেনও ম্লান হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওবামার হয়তো দফা রফা হয়ে যেতো৷ এখন দেখতে হবে মঙ্গলবার কী করেন ওবামা৷

https://p.dw.com/p/16PJ5
ছবি: Reuters

১০ দিন আগেও হাওয়া ছিল অনুকূল৷ বারাক ওবামার আরেক দফা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনার পালেই তখন সবচেয়ে জোরদার হাওয়া৷ মিট রমনির আশার আলো তখন মিটমিট করেই জ্বলছে৷ কিন্তু ৩ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি এক বিতর্কে সেই রমনিই ভোটারদের কাছে হয়ে গেলেন আগের চেয়ে অনেক বেশি রমণীয়! সেদিনের ধাক্কা এখনো পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেননি ওবামা৷ 

বৃহস্পতিবার একটা সুযোগ ছিল আগের ক্ষতি যতটা সম্ভব পুষিয়ে নেয়ার৷ ওবামা-রমনি প্রথম সরাসরি বিতর্কের ৮ দিন পর সেদিনই মুখোমুখি হন জো বাইডেন আর পল রায়ান৷ প্রেসিডেন্ট আর তাঁর চ্যালেঞ্জারের পর তাঁদের দুই সহযোদ্ধারও টেলিভিশনে মুখোমুখি দ্বৈরথ৷ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন খারাপ করেননি৷ রমনি যেভাবে আক্রমণ শানিয়ে নিষ্প্রভ করে দিয়েছিলেন ওবামাকে, তার চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ৬৯ বছর বয়সী বাইডেন চেষ্টা করেছেন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে৷ আমেরিকান ইউনিভারসিটির ডটি লিঞ্চ জানান, বিতর্কের পর তিনি ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছেন, বাইডেনের পারফরমেন্সে তারা খুশি৷ পল রায়ানকে কোণঠাসা করার কোনো সুযোগ না ছেড়ে, সুযোগ পেলেই আক্রমণ করে বাইডেন ডেমোক্র্যাট দলে নতুন উদ্যমের সঞ্চার করেছেন বলেই তাঁদের ধারণা৷ বাইডেনের তুলনায় বেশ ম্রিয়মাণ থেকে রায়ানের যে খুব ক্ষতি হয়েছে তা-ও কিন্তু নয়৷ তাঁর রিপাবলিকান দলের কর্মী-সমর্থকরা মনে করছেন, রায়ান বেশি ভালো না করলেও খুব খারাপও করেননি৷

Picture Teaser US Wahl 2012
১৬ তারিখ আবার বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন ওবামা-রমনি

তার মানে, নিজেদের নেতার পারফরমেন্সে দু দলের সমর্থকরাই খুশি৷ তাহলে এ মুহূর্তে কে এগিয়ে? বারাক ওবামা? নাকি মিট রমনি? বৃহস্পতিবার বাইডেন-রায়ান বিতর্কের পরই একটা জরিপ চালিয়েছিল সিএনএন৷ ৩৮১ জন ভোটার অংশ নিয়েছেন সেই জরিপে৷ তাঁদের সবাই সেদিন বাইডেন-রায়ান বিতর্ক দেখেছেন টেলিভিশনে৷ তো তাঁদের রায়ে কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে ভালো করা বাইডেনই পিছিয়ে৷ শতকরা ৪৪ ভাগ দর্শক রায় দিয়েছেন তাঁর পক্ষে, অন্যদিকে রায়ানকে জয়ী মনে করেছেন ৪৮ ভাগ৷ জরিপের এ ফলাফল আশ্চর্যজনক হলেও ডেমোক্র্যাটদের জন্য খুব হতাশার নয়, কারণ ওবামার মতো দলকে বাইডেন এতটা পিছিয়ে দেননি – এ কথা ভেবে এখনো সান্ত্বনা পেতেই পারেন ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থকরা৷ ৩ সেপ্টেম্বর তো সিএনএনের জরিপে রমনির কাছে ৬৭-২৫ ব্যবধানে পিছিয়েছিলেন ওবামা৷ বৃহস্পতিবার বাইডেনেরও একই হাল হলে ডেমোক্র্যাটদের কি আর কোনো আশা থাকতো?

হঠাৎ করেই অবস্থা কিন্তু বেশ সঙ্গিন হয়ে গেছে ওবামার৷ ৩ সেপ্টেম্বর রমনির মুখোমুখি হওয়ার আগ পর্যন্ত সব জরিপেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ অথচ সেদিনের পর অবস্থা গেছে বদলে৷ পরের দশ দিনে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যত জরিপ হয়েছে তাতে গড়ে এখন রমনিই এগিয়ে৷ ভোটারদের গড় রায় রমনির পক্ষে ৪৭ দশমিক ১ আর ওবামার ৪৬ দশমিক ৪, অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত যা অবস্থা ছিল সেটাকে একেবারে উল্টে দিয়ে রমনিই এখন এগিয়ে!

অবস্থার এই রাতারাতি পরিবর্তন যে প্রথম সরাসরি বিতর্কে ওবামার গড়পড়তা পারফরমেন্সের কারণে তা বুঝতে আর বিশ্লেষক হবার প্রয়োজন নেই৷ তবে ওবামা হয়তো রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথা গুরুত্ব দিয়ে পরবর্তী বিতর্কে সব উজাড় করে দিলেই ভালো করবেন৷ মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় রমনির বিপক্ষে তাঁর দ্বিতীয় বিতর্ক নির্বাচনি হাওয়া কোন দিকে যাবে তা অনেকটাই ঠিক করে দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ বিশেষ করে রমনি এবারও জিতে গেলে তো যাবেই৷ ওবামাকে তাই আটঘাট বেঁধে নামতেই হবে৷

এসিবি /এসবি (ডিপিএ, এএফপি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য