1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

১৩ মার্চ ২০১৩

এসি মিলানকে ৪-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল বার্সেলোনা৷ মেসি, সাবি, ইনিয়েস্তাদের জাদুতে বার্সার ‘টিম স্পিরিট’ ছিল দেখার মতো৷

https://p.dw.com/p/17vud
ছবি: picture-alliance/dpa

‘‘এমন একটা রাতের পর সব খারাপই পেছনে পড়ে যায়৷ আজ আমরা যা করলাম তারপর কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ যে-ই হোক আমাদের কিছুই যায় আসে না তাতে৷'' ডেভিড ভিয়া কথাটা বলেছেন মঙ্গলবার ন্যু ক্যাম্পে রাউন্ড অফ সিক্সটিনের দ্বিতীয় লেগে এসি মিলানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাওয়ার পর৷ ভুল কিছু বলেননি বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড মেসি, সাবি, ইনিয়েস্তাদের জাদুতে বার্সা এমন খেলেছে যে ক্লাব ফুটবলের সেরা আসরে এখন যে কোনো প্রতিপক্ষকে এসি মিলানের বিদায়পর্ব মনে করেই মাঠে নামতে হবে৷ মঙ্গলবার আরেক ম্যাচে জার্মানির শালকেকে ৩-২ গোলে হারিয়ে তুরস্কের গালাতাসারাইও উঠেছে শেষ আটে৷ শালকের মাঠে সেই ম্যাচটিও হয়েছে দারুণ৷

তবে বার্সা-এসি মিলান ম্যাচের তুলনায় আসার কথা নয় সেই ম্যাচের, খেলার মানের দিক থেকে আসবেওনা৷ ন্যু ক্যাম্প নিজেদের মাঠ হলে কী হবে, মঙ্গলবার সেখানেও বার্সাকে নামতে হয়েছিল বিদায় নেয়ার সমূহ আশঙ্কা নিয়ে৷ তিন সপ্তাহ আগে মিলানে গিয়ে ২-০ গোলে হেরে আসায় হিসাবটা বড় কঠিন ছিল৷ ইটালির ক্লাবটি কোনো গোল করতে না পারলেও জিততে হতো অন্তত ৩-০ গোলে৷ ২-০ তে জিতলে হতো টাইব্রেকার৷ এসব হিসেবের আর দরকার পড়েনি লিওনেল মেসি দুটি আর ডেভিড ভিয়া এবং জর্ডি আলবা একটি করে গোল করে ৪-০ গোলের বিশাল এক জয় এনে দেয়ায়৷

Champions League FC Barcelona - AC Milan
এমন আনন্দ বার্সাকেই মানায়ছবি: picture-alliance/dpa

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সা৷ জাভির পাস থেকে বল পেয়ে মেসি বাঁ পায়ে এমন শট নিয়েছিলেন যা আটকানোর কোনো সুযোগই ছিল না এসি মিলানের গোলরক্ষকের৷ গোল করে ন্যু ক্যাম্পকে স্তব্ধ করার সহজতম সুযোগ মিলান পেয়েছিল ৩৮ তম মিনিটে৷ কিন্তু ভিক্টর ভালদেসকে একা পেয়েও বল পোস্টে মেরে সুযোগটি নষ্ট করেন মবায়ে নিয়াং৷

তার পরপরই ইনিয়েস্তার পাস থেকে বল আসে মেসির পায়ে৷ এবার নিচু শট এবং গোল! তখনো অন্তত একটা গোল চাই বার্সার৷ সেটা এলো দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর৷ মেসি এবং ম্যাচের প্রথম গোলের মতো এবারও রূপকার সাবি৷ তাঁরই সুচতুর পাস এবং তা থেকে ডেভিড ভিয়ার বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে এসি মিলানের সর্বনাশ৷ আর গোল না হলেও ৩-২ গোল পার্থক্যে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যেত বার্সা৷ তখন আর মরিয়া না হয়ে উপায় ছিল না এসি মিলানের৷ গোল পেলে এবং বার্সাকে আর গোল করতে না দিলে তারাই উঠতো শেষ আটে৷ কিন্তু হলো উল্টোটা৷ ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে আলবার গোল এবং পরিণামে ৫-৩ গোল ব্যবধানে ইটালিয়ান জায়ান্টকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের বার্সেলোনা৷

জার্মানির গেলজেনকিয়ের্শেন শালকেকে ৩-২ গোলে হারানোয় গালাতাসারাই শেষ আটে উঠেছে ৪-৩ গোল পার্থক্যের সুবিধা নিয়ে৷ প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করায় টিকে থাকা কঠিন ছিল তুর্কি ক্লাবটির জন্য৷ সেই কঠিন হিসাবই গালাতাসারাই সহজ করে নিয়েছে হামিত আলটিনটপ, বুরাক য়িলমাজ এবং উমুত বুলুতের করা গোলে৷

এসিবি/এসবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য