1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্নীতির অভিযোগ

১২ এপ্রিল ২০১২

বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত'র এপিএস'এর গাড়িতে ৭০ লাখ টাকার ঘটনা তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন৷ আর সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/14bos
ছবি: AP

ঘটনাটি সোমবার গভীর রাতের৷ রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক আর রেলের জিএম ইউসুফ আলি মৃধা গাড়ি করে রেলমন্ত্রীর জিগাতলার বাসায় যচ্ছিলেন৷ পথে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের সামনে তাঁদের আটক করেন বিজিবি সদস্যরা৷ গাড়িতে পাওয়া যায় ৭০ লাখ টাকা৷ আর এই টাকা নিয়ে কিছু বেফাস কথাও বলে ফেলেন গাড়ির ড্রাইভার মো. আযম৷

তবে আটক আর রাতভর নাটকের পর, মঙ্গলবার ভোরে টাকাসহ ছেড়ে দেয়া হয় এপিএস ওমর ফারুক আর রেলের জিএম ইউসুফ আলি মৃধাকে৷ থানায় পাঠানো হয় ড্রাইভারকে৷ এতে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়৷

Bangladesch Suranjit Sengupta
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তছবি: Harun Ur Rashid Swapan

এসব নিয়ে এখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত৷ প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে৷ আর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, বিষয়টি সন্দেহজন৷ তাই তাঁরা এই ঘটনার তদন্ত করবেন৷ প্রয়োজন হলে রেলমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে৷ তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি ছাড়া আর কারুর দুর্নীতি তদন্তে আইনগত কোনো বাধা নেই৷

এদিকে, রেল মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে রীতিমত তোপের মুখে পড়েন রেলমন্ত্রী৷ সংসদীয় কমিটির সদস্য রেহানা আক্তার রানু এমপি ৭০ লাখ টাকার ঘটনা তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান৷ এছাড়া, রেলে নানা দুর্নীতির অভিযোগও করেন তিনি৷

তবে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এপিএস'কে সাসপেন্ড করা হচ্ছে৷ আর তাঁর মন্ত্রণালয় থেকে দু'টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন৷

সাংবাদিকরা এপিএস'এর গাড়িতে ৭০ লাখ টাকার উৎস, তাঁদের আটকের পর টাকাসহ ছেড়ে দেয়া আর রেলে নিয়োগ বানিজ্য নিয়ে প্রশ্ন করলে বিব্রত হন রেলমন্ত্রী৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য