1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্রযুক্তিযুক্তরাষ্ট্র

এআই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সমঝোতা

২৭ নভেম্বর ২০২৩

রোববার ১৮টি দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির অপব্যবহার রুখতে কোম্পানিগুলির জন্য কিছু বিষয়ে সুপারিশ করেছে৷ বাধ্যতামূলক না হলেও এর ফলে ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4ZTZN
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের পর্দা এআই এর প্রতীক
এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার রুখতে শুরু থেকেই ‘সিকিউর বাই ডিজাইন’ বা সৃষ্টির স্তরেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে৷ছবি: JOSEP LAGO/AFP/Getty Images

বিশ্বজুড়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির প্রয়োগ যেভাবে বেড়ে চলেছে, মানবজাতির ভবিষ্যতের উপর তার গভীর প্রভাব নিয়ে তেমন কোনো সংশয় নেই৷ কিছু বিশেষজ্ঞ এই প্রযুক্তিকে মানুষের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবেও সতর্ক করে দিচ্ছেন৷ নতুন এই প্রবণতা চিকিৎসা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে৷ বিভিন্ন দেশ এআই প্রযুক্তির উন্নতির উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাইছে৷ একইসঙ্গে এমন বিধিনিয়ম ও আইনকানুনের সন্ধান চলছে, যা  উন্নতির পথে অন্তরায় না হয়েও বিপদের আশঙ্কা দূর করতে পারে

বিশ্বায়নের এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত বিধিনিয়ম যে শুধু জাতীয় স্তরে আবদ্ধ রাখার তেমন কোনো অর্থ নেই, সে বিষয়ে সংশয় নেই৷ তাই আন্তর্জাতিক স্তরে ঐকমত্য অর্জনের চেষ্টা চলছে৷ সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রোববার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেনসহ মোট ১৮টি দেশ এক আন্তর্জাতিক সমঝোতা চূড়ান্ত করেছে৷ এর আওতায় কোম্পানিগুলিকে এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার রুখতে শুরু থেকেই ‘সিকিউর বাই ডিজাইন’ বা সৃষ্টির স্তরেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে৷

২০ পাতার এই সমঝোতা অবশ্য বাধ্যতামূলক নয়৷ তাতে বেশ কিছু সাধারণ সুপারিশ করা হয়েছে৷ এআই প্রণালীর অপব্যবহার রুখতে নজরজারি, তথ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুরক্ষা, সফ্টওয়্যার সরবরাহকারীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার মতো পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷

এই সমঝোতা বাধ্যতামূলক না হলেও এত দেশ মিলে যে তাতে সম্মতি দিয়েছে, সেই বার্তা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির জন্য বাড়তি গুরুত্ব পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা ও অবকাঠামো নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের প্রধান জেন ইস্টারলি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে  বলেন, এই প্রথম এত বড় আকারে ঐকমত্য সম্ভব হয়েছে৷ ফলে এআই প্রযুক্তিতে শুধু নতুন গুণাগুণ যোগ করা এবং যত দ্রুত সম্ভব সে সব সস্তায় বাজারে এনে প্রতিযোগিতায় টেক্কা দেওয়া ছাড়াও এই নির্দেশিকায় নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ উপযুক্ত পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে তবেই এমন প্রযুক্তি বাজারে আনার সুপারিশ করা হয়েছে৷

বিশেষজ্ঞরা এআই প্রযুক্তির নানা রকম অপব্যবহারের আশঙ্কা তুলে ধরছেন৷ তাঁদের মতে, হ্যাকারদের হাতে এমন প্রযুক্তি ব্যাপক গোলোযোগ সৃষ্টি করতে পারে৷ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়ও গুরুতর বিঘ্ন ঘটানো সম্ভব৷ প্রতারণা, নাটকীয় মাত্রায় কর্মী ছাঁটাই ইত্যাদি অন্যান্য ঝুঁকিও রয়েছে

এআই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ইউরোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে রয়েছে৷ মার্কিন কংগ্রেসে রাজনৈতিক বিবাদের কারণে অগ্রগতি হচ্ছে না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইনের খসড়া প্রস্তুত করছে৷ সম্প্রতি জার্মানি, ফ্রান্স ও ইটালি এ সংক্রান্ত এক সমঝোতায় পৌঁছেছে৷ তবে এই তিন দেশও বাধ্যতামূলক আইনের বদলে আপাতত কোম্পানিগুলির উদ্দেশ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য