1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উদ্বোধন করা হচ্ছে ‘‘কেপলার মহাকাশ দূরবীন’’

ফারজানা কবীর খান৬ মার্চ ২০০৯

অনেকদিন ধরে নাসা সৌরজগতে এবং সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর মতো গ্রহ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে৷ সেই প্রচেষ্টায় এবার যুক্ত হচ্ছে ‘‘কেপলার মহাকাশ দূরবীন’’৷

https://p.dw.com/p/H6hy
মহাকাশের রহস্যভেদে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নাসা৷ছবি: AP

৬ই মার্চ, শুক্রবার ফ্লোরিডায় অবস্থিত কেপ কেনেভেরাল বিমান বাহিনীর ঘাঁটি থেকে ডেলটা-২ রকেটে বসিয়ে কেপলার মহাকাশ দূরবীন উদ্বোধন করা হচ্ছে৷ এই উদ্বোধনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে সৌরজগতের ভিতরে এবং বাইরে পৃথিবীর মতো আরো গ্রহ আছে কিনা তার সন্ধান করা৷ একই সঙ্গে সেখানে মানুষের মতো প্রাণীর বসবাস সমন্ধে খোঁজ করা৷

BdT Space Shuttle Aussicht vom ISS
নাসার একটি মহাকাশ যান৷ছবি: AP

‘‘কেপলার মহাকাশ দূরবীন'' এমন একটি যন্ত্র যা দিয়ে আলোর তীব্রতা পরিমাপ করা যায়৷ মহাকাশে কেপলারের কাজ হলো ছায়াপথের মধ্যে যেসব নক্ষত্র ঘুরে বেড়ায় তাদের আলোর তীব্রতা পরিমাপ করা৷ আলোর তীব্রতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নক্ষত্রের চারদিকে আবর্তিত সেই গ্রহগুলোর সন্ধান করা, যেখানে প্রাণীর বসবাস আছে৷ এই যন্ত্রের উন্নত সংস্করণ করতে নাসার খরচ হয়েছে ছয়শো মিলিয়ন ডলার৷

জ্যোতির্বস্তুবিদ অ্যালান বস নিশ্চিত যে, কেপলার এবং ফ্রান্স নির্মিত করোট উপগ্রহ-এর মাধ্যমে খুব শীঘ্রই পৃথিবীর মতো গ্রহের খোঁজ পাওয়া যাবে৷ ফেব্রুয়ারিতে একটি বিজ্ঞান সম্মেলনে তিনি বলেছেন যে, ‘‘ আমি সত্যি ভীষণ অবাক হবো যদি কেপলার এবং করোট উপগ্রহ পৃথিবীর মতো কোন গ্রহ খুঁজে না পায়৷ কারণ ইতিমধ্যেই আমরা তাদের খোঁজ করছি''৷ করোট উপগ্রহটি ইতিমধ্যেই পৃথিবী ও এর বায়ুমন্ডলের অর্থাৎ সৌরজগতের বাইরে একটি গ্রহ খুঁজে পেয়েছে৷ যা থেকে জ্যোতির্বস্তুবিদরা ধারণা করছেন যে, গ্রহটি এর নক্ষত্রের খুব কাছে অবস্থান করছে এবং ভীষণ উত্তপ্ত অবস্থায় আছে৷

ক্যালোফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসা গবেষণা কেন্দ্রের কেপলারের বিষয়ে প্রধান গবেষক উইলিয়াম বোরৌকি বলেছেন যে, ‘‘এই প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে এমন কিছু গ্রহ খুঁজে বের করা যা জীবনধারণের জন্য উপযোগী৷ আমরা এমন কিছু গ্রহের সন্ধান করছি যেখানকার তাপমাত্রা ভীষণ গরমও হবেনা৷ আবার ভীষণ ঠান্ডাও হবেনা৷ আমরা এমন জলবায়ু যুক্ত গ্রহ খুঁজছি যার ভুতলে পানির সন্ধান পাওয়া যাবে৷ যদি এধরনের গ্রহ খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে হবে যে, বিশ্বব্রহ্মান্ডের মধ্যে প্রাণীর বসবাস অতি সাধারণ ব্যাপার৷ সেখানে প্রাণের বিকাশ ঘটানোর সুযোগ রয়েছে৷ আর যদি খুঁজে পাওয়া না যায় বা অল্প কিছু গ্রহের খোঁজ পাওয়া যায়, তাহলে বুঝতে হবে পৃথিবীর মতো মানুষের বাসযোগ্য গ্রহ খুব কমই আছে৷ বুঝতে হবে যে, হয়তো শুধুমাত্র পৃথিবীই প্রাণীর বসবাসের একমাত্র গ্রহ''

প্রসঙ্গত, কেপলার মহাকাশ দূরবীনের নামকরণ হয়েছে এর আবিষ্কারক জার্মান গণিতবীদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং দার্শনিক ইয়োহানেস কেপলারের নাম অনুসারে৷