1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশি সহায়তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

জাহিদুল হক২৯ এপ্রিল ২০১৩

সাভারে ধসে যাওয়া ভবনে উদ্ধারকাজ এখনো চলছে৷ দুর্ঘটনার ষষ্ঠ দিনে উদ্ধার অভিযানে ব্যবহৃত হচ্ছে ভারী সব যন্ত্রপাতি আর সরঞ্জাম৷ ভবনের মালিক সোহেল রানা গ্রেপ্তার সহ ধস সংক্রান্ত নানা আলোচনায় মুখর ব্লগ আর ফেসবুক৷

https://p.dw.com/p/18Oux
ছবি: Reuters

তেমনই একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী আশরাফুল আলম খোকন৷ সোহেল রানা যুবলীগের কেউ নয় – সংসদে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দলের সব নেতাকর্মীর দায়দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা থাকার কথা নয়! বৃহৎ একটি দলে কিছু সংখ্যক নেতিবাচক মনোভাবের লোকজন থাকতেই পারে এবং এটাই স্বাভাবিক!....আপনার যেসব সহযোগী ভুল তথ্য দিয়ে জাতির কাছে আপনাকে হেয় করার অপচেষ্টা করে তারা খুবই ভয়ংকর!''

এরপর তিনি লিখেছেন, ‘‘মখার মতো একজন মন্ত্রীই যথেষ্ট আপনার সকল অর্জন নষ্ট করার জন্য! আর কাউকে লাগবে না!''

গ্রেপ্তার সোহেল রানার যেন প্রকৃত বিচার হয় এর জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে সামহয়্যার ইন ব্লগে লিখেছেন সফিক৭১৷ তিনি বলেন, ক্ষমতাশালীরা যেন রানার বিচারকে প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে সকলের, বিশেষ করে সাংবাদিকদের তীক্ষ্ন নজর রাখতে হবে৷

এছাড়া তিনি রানা প্লাজার স্থানেই একটি বহুতল মার্কেট তৈরি করে সেখানকার দোকানগুলোর মালিকানা নিহত ও আহত, যারা পঙ্গু হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়বেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন৷ এজন্য তিনটি খাত থেকে টাকা উঠানোর কথা বলেছেন তিনি৷ এক, সোহেল রানার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি থেকে৷ কারণ সেই সবচেয়ে বেশি দায়ী৷ দুই, বিজিএমইএ থেকে৷ কারণ সংস্থার অতি-মুনাফালোভী-শ্রমিকবিদ্বেষী আচরণ এ অপরাধের সমান অংশীদার বলে মনে করেন এই ব্লগার৷ আর তিন নম্বর খাতটি হচ্ছে রাষ্ট্রের কোষাগার৷ কারণ রাষ্ট্র, সরকার, জনগণ সকলেই অপরাধী এর বিরুদ্ধে পূর্বে থেকেই কোনো প্রতিবাদ-আন্দোলন না করার দায়ে৷

লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়েও অনেককে মতামত দিতে দেখা গেছে৷ পত্রিকাটি বলছে উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করতে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ব্রিটেন সহ কয়েকটি দেশ৷ কিন্তু বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি তাতে রাজি হয়নি জাতীয় অহংকার ভূলুন্ঠিত হবে এই ভয়ে! ফেসবুক ব্যবহারকারী শরিফুল হাসান লিখেছেন, ‘‘কথাটা শুনেই মেজাজ খারাপ লাগছে৷....হায়রে জাতীয় অহংকার! এই যে চারশ লোকের জীবন গেলো তাতে নিশ্চয়ই সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক বেড়েছে৷ আমার তো মনে হয় আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারীদের একসঙ্গে নিয়ে কাজ করলে হতাহতের সংখ্যা যাই হোক সারা বিশ্বই বুঝতো এই উদ্ধারকাজ কতোটা কঠিন৷ জানি না যারা দেশ চালান নিশ্চয়ই তারা অনেক বেশি বুঝেন আমার চেয়ে৷ মানুষের জীবনের চেয়ে তাই হয়ত দেশের ভাবমূর্তিই তাদের কাছে গুরুত্বপুর্ণ....৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য