1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইবোলার মোকাবিলা

১৯ অক্টোবর ২০১৪

পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলার প্রসারের মোকাবিলা, ইউরোপ ও উত্তর অ্যামেরিকায় আরও সতর্কতা এবং পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে এই বিপদের মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে একাধিক দেশ ও সংগঠন৷ তবে সমালোচনাও থেমে নেই৷

https://p.dw.com/p/1DY5x
Isolierstation Uniklinik Hamburg-Eppendorf (UKE)
ছবি: Universitätsklinikum Hamburg-Eppendorf/Bertram Solcher

ইবোলার প্রকোপ মূলত আফ্রিকার পশ্চিমেই সীমাবদ্ধ থাকবে- প্রথমদিকে এমনটাই ধারণা করা হয়েছিল৷ কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে হলেও বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় বেড়ে চলেছে ইবোলা রোগীর সংখ্যা৷ এ অবস্থায় বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে সুরক্ষা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে৷

প্রথমেই বিমানবন্দরসহ আন্তর্জাতিক সীমান্তে ইলা প্রতিরোধের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলি নতুন করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ কারণ,পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমেই ইবোলা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি৷ প্রবেশদ্বারের মুখেই তাদের শনাক্ত করতে না পারলে তারা এই ভাইরাস আরও ছড়িয়ে যেতে পারে৷

পশ্চিম আফ্রিকায় বিমানে ওঠার আগেই যাত্রীদের স্ক্রিনিং, সন্দেহ দেখা দিলে কোনো যাত্রীকে বিমানে উঠতে না দেওয়া অত্যন্ত জরুরি পদক্ষেপ৷ এসব বাধা পেরিয়ে ইবোলা আক্রান্ত কোনো যাত্রী যদি শেষ পর্যন্ত ইউরোপ বা অ্যামেরিকায় পৌঁছে যায়, তখন বিমানবন্দরেও তাকে শনাক্ত করে বাকিদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হয়৷ হাসপাতালে চিকিৎসার সময়ও কড়া নিয়ম মেনে চলার কথা৷ কিন্তু ঢিলেমির কারণে গাফিলতির ঘটনা বাড়ছে৷ স্পেন থেকে অ্যামেরিকা – অনেক দেশেই এমন ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয় আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

এদিকে পশ্চিম আফ্রিকার ১৫টি দেশকে ইবোলা মোকাবিলায় আরও সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)৷ লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন ও গিনি – এই তিনটি দেশেই ইবোলা সবচেয়ে মারাত্মক রূপ নিয়েছে৷ বাকি দেশগুলোরও পরিস্থিতিও খারাপ৷ এবোলা যাতে আরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, ডাব্লিউএইচও তা নিশ্চিত করতে চায়৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইবোলার মোকাবিলায় সামরিক বাহিনীর এক অভিযান অনুমোদন করেছেন৷ রিজার্ভিস্ট সৈন্যরা তাতে অংশ নেবেন৷ তবে ওবামা বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিম আফ্রিকায় ভ্রমণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চান না৷ ফলে এসব দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না৷ তবে অ্যামেরিকার প্রবেশদ্বারে সতর্কতা আরও বাড়ানো হচ্ছে৷ ইবোলা মোকাবিলার যাবতীয় উদ্যোগের সমন্বয়ের জন্য একটি পদ সৃষ্টির কথাও ভাবছে ওবামা প্রশাসন৷

ইবোলা মোকাবিলার ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷ জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব কোফি আন্নান অভিযোগ করেছেন, রোগটি আফ্রিকায় দেখা দেয়ায় প্রথমে কেউই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি৷ এখন ইবোলা ইউরোপ ও উত্তর অ্যামেরিকায় প্রবেশ করতে শুরু করায় উন্নত দেশগুলি নড়েচড়ে বসেছে৷ ইবোলা মোকাবিলায় গঠিত রিজার্ভ তহবিলে যথেষ্ট অর্থ জমা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব বান কি-মুন৷ শুক্রবার পর্যন্ত শুধু কলম্বিয়া ১ লক্ষ ডলার জমা করেছিল৷ তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের উদ্যোগের প্রশংসা করেন বান৷ তিনি বাকি দেশগুলোর উদ্দেশ্যে আরও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করার ডাক দিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)